ভুগতে ভুগতে ভূস্বর্গ ছেড়ে যাব
                     বিপ্লব দাস


পিছু ডাক দিও না, প্রিয় ক্রন্দনরত মুখগুলো।
ক্লান্ত–পরিশান্ত  মনের অশ্রু নিয়ে আর কতগুলো ফুল ফুটাবে ব্রহ্মান্ডে?
যাবার বেলা পিছু ডাক দিতে নেই–
মন সলতে বড্ড মায়া হয়ে যায়।
আমাকে ছায়ার পৃথিবীতে ডুবে যেতে দাও,
        আমায় ডুবে যেতে দাও।
    
কাঁধে করে অসুখ বইতে বইতে আমি জর্জরিত।
আর পৃথিবীতে জন্মাবার ,বোঁটা ছেঁড়া স্বাদ জাগে না
দোর গোরায় এসে দিবস রজনী নীল নীলের প্রলয়।


তুমি প্রাণোচ্ছল হাসিটুকুই দেখিয়ে চলে যাও।
আর তাকিও না পিছে,
আমি পারবো না তোমার অশ্রুমাখা  মুখশ্রী দেখতে।


শেষ শোভা যাত্রা গাড়ির পলিথিনে মোড়ানো শবদেহ।


'করোনা '  পথিকদের সঙ্গে কিছুদিন শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্ট সংসার।
আমার আধখাওয়া পৃথিবীর দিকে ধ্যান দিও না।।


প্রেয়সী তোমার গোলাপি রুমাল, মা তোমার
আঁচলের ছোঁয়া পেতে চাই,
শেষ বারের মত।
তবে এই ইচ্ছাটুকুই প্রকাশ করতে পারবো না।


মৃতপ্রায় বৃক্ষের মত কোয়ারান্টিন রুমে –বাঁচা  বৃথা।
পৃথিবীতে টিম টিমে আলোতে শুধু অসুখের আহ্বান।


রণরত সর্বদা আমায় নিয়ে ভায়োলিনের মতো সুর তোমার কন্ঠে।
ঠিক যেন জন্মান্তর ধরে দেহরক্ষী।
পৃথিবী বা বিধাতার কানে কখনো বলিনি একথা।
এই প্রলয় ঘাগরা পরিয়ে নিয়ে যাও উষ্ণ আরাম  পৃথিবীতে।
বাতাসই জেনে যাবে আমার প্রথম মৃত্যু সংবাদ।
শষ্যের দানার মত কয়েকটি সুখ পেয়েছি
             তা অশ্রুতে ভেজাতে চাই না।
আমি ভুগতে ভুগতে ভূস্বর্গে ছেড়ে যাব
      কালো চুল উড়িও  যত্ন করে একটু
         তবেই পরশ আগুনে হব বিলীন।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৯/০৪/২০২১