জল বিহীন শুস্ক ধুসর মরুর মত
তেল শুকিয়ে যাওয়া দপদপ করে
জ্বলতে থাকা প্রদীপ টা র মত
জীবনের অন্তের সম্মুখে দাঁড়িয়ে ।


তোমার প্রিয় দেওর ,আমার বন্ধু
নিভতে বসা দুটি মলিন প্রাণ
জানো তো আজ সত্তর বছর আগের
সেই পুরানো বন্ধুর সাথে মিললাম।


তোমার মনে পড়ে সেই বারীণ কে
তোমার দাঁত টা উচু বলে  খ্যাপাত
আসলে এত আনন্দ উচ্ছল ছিল ও
সারাদিন ঘর টা মাতিয়ে রাখত।


একবার সেই বছর শুরুর দিনে
কি কান্ডটাই না করেছিল ও
বাবা সেদিন ইলিশ  আনলো কিনে
চুরি করে সে পুরো মাছটাই খেয়ে ফেলল।


হয়তো ভেবেছিল তোমায় বকবে সবাই
কিন্তু সবাই জানত কাজটা কার
তোমার সেই প্রিয় বারিনের সাথে
কতদিন পর যে মিললাম আবার।


পুত্র ,পুত্র-বধু নাতি নাতনী শহরে থাকে
বৃদ্ধাশ্রমে বারীণ থাকে শুধু একা
নববর্ষ বলে একদিনের জন্য তার
ঘরে মিলল ঠাই ,পেলাম তার দেখা।


দুজনের এখন লাঠি ই  সম্বল ,
সেই তরুণ বয়স, তরুণ মন  আর নেই
নাতি নাতনি দের গল্প শোনাচ্ছিলাম
কোন দেশ প্রেমিকের ছিল কোন দল।


নববর্ষ মলিন এখন , রং ও হয়েছে ফিকে
হয়ত ওদের ও নিভবে জীবন প্রদীপ এবার
এখন নতুন যন্ত্র শুধু  ছুটছে চারিদিকে
হয়েছে সময় সকালের সূর্য অস্ত যাবার।


নববর্ষের সেই কোলাহল ,আনন্দ মুখর দিন
হারিয়ে ফেললে গ্রাম্য বধু তুমিও এসব কিছু
পুরনো সব হয়ে গেছে এখন ক্ষীন
কি লাভ হবে আমার  শুধু শুধু  ছুটে তার পিছু ?


আম গাছেও আম কমেছে ,পুকুরে হয়না  বড় মাছ
টাকা ফেললে পাওয়া যাবে সব পেলে একটা কাজ  
মাছ কিনব হাজার টাকায় , রাখতে হলে স্টাটাস  
ইতি র পাতায় থাক আদিখ্যেতা ,থাক  বারোমাস ।