একালের বুড়ো আব্দুল মাঝি
একা বসে থাকে তার নায়ে ,
কাঁধের গামছা নোংরা হয়েছে
কাল সীটে দাগ তার গায়ে।


চারিধারে আজ সেতু হয়েছে
নদী তে পারাপার কেউ হয়না,
বাপ দাদার রেখে যাওয়া নাও
ছাড়তে কিছুতেই মন চায়না।


সারাদিনে একটা ও আধুলি
ভুলে কেউ তো দেয় না তাকে ,
তবুও কেন যে  প্রতিদিন সে
লোকেদের অপেক্ষায় থাকে।


মানুষ আজ বদলে গিয়েছে
বদলেছে তাদের আগের মন ,
নাওয়ে বসবে সময় কই হাতে
ছুটছে তো সবাই সারাক্ষণ।


বুড়ো মাঝি ,নাও আর নদী
তিন জনে কি যে বড় ভাব ,
কে জানে এখন মাঝির মত
নদীর ঘরে  আছে অন্নাভাব।


সময়ের সাথে ক্ষয়ে যাওয়া
মানুষের অবুঝ বৃদ্ধ মন ,
আধুনিক কে বুঝতেই চায়না
থাকতে চায় অতীতে সর্বক্ষণ।


নদী ও মরছে আস্তে আস্তে
তার ও বুঝি হলো দিন শেষ ,
বুড়ো মাঝি কান্না করে শুধু
কে থামাবে যে কান্নার রেশ।


সময়ের সাথে বুড়ো পাতাদের
ঝরে যেতে হয় গাছ ছেড়ে ,
বিধাতা কে এত নিষ্ঠুর হয়
আব্দুল কে নেয়না কেড়ে।


নাও নদী আর সে একসাথে
ছাড়বে এই নতুন  পৃথিবী ,
কষ্টের হাত থেকে মুক্তি পাবে
নদীর বুকে থাক প্রতিচ্ছবি।