শিয়ালদহ ছেড়ে ট্রেনটা ছুটল আপে-
হঠাৎ দেখি,
এক জনম দুখিনী !
দাঁড়ানোর ক্ষমতা টুকু নেই তাঁর ,
সদা কম্পিত হাত খানি বাড়িয়ে--
কিছু পেতে চায়-
বাঁচতে চায়-
আশাহত হয়নি আজও!
আঁচল তলে বেড়ে ওঠা -
তুলতুলে দুটি পা-
হাতুড়ি আঘাত দিয়েও ভাঙতে পারেনি---
মাতৃত্ববোধ সহনশীলতা।
পাওয়া আর না পাওয়ার মাঝে-
অকাতরে বিলিয়ে যাচ্ছে--
ঝুলি ভরে আনা আশীর্বাদ-
নিরবে,
হয়তো তারও জন্য!
যে তারে বোঝা ভেবে নামিয়ে দিয়ে গেছে,
আজ এই পথে।
কেন তুমি  ভিক্ষা করো আজ ,
জীবনের রঙ্গমঞ্চের শেয পর্বে?
বিনিদ্র রজনীর অর্ধ উন্মোচিত  চোখে ,
আমার দিকে একবার তাকায়-
শুকিয়ে গিয়েছে অশ্রুগ্রন্থি,
তবুও লুকানোর ছলে,
মৃদু হেঁসে ,
অভয় ছত্রখান দিয়ে--
চোখটাকে একবার আদর করলো যেন।
হায়রে ----
কি অর্থ তার?
সভ‍্যতার অভিধানে খামতি শুধূ এই।
মায়ের কান্নার কোন প্রতীশব্দ নেই।।