কাহারে বল হে লেখক মাতৃতান্ত্রিক
আদি-সাঁওতাল যে আজীবন পিতৃতান্ত্রিক;
আমি মানি না তোমার লেখনীর বাণী।
যে সমাজে পুরুষেরা বসে খায়
মায়েদের জমিতে, খনিতে, দাদনে পাঠায়।
যে সমাজে মাকে দৈন্যতায়, হীনতায়
হতে হয় বাহ্যিক-আভ্যন্তরিক পরিচারিকা।
যে সমাজ বলে কন্যাপক্ষ পাত্র খোঁজা অনিয়ম,
যে সমাজে নারী আজও
শাঁখা সিঁদুর নামক বেড়ি জালে আবদ্ধ,
সমাজে কুৎসা রটে একবিংশ শতাব্দীতেও
মেয়ে যদি দেরি করে ঘরে ফেরে।
যে সময় ভিন্ন সমাজের মেয়েরা
শিক্ষাকে লক্ষ্য হিসেবে ধারণ করে,
সেসময় আদিসমাজের মেয়ে পড়ে থাকে আতুঁড় ঘরে।
মিথ্যা সমাজের ভয়ে
বিধবার বিবাহে নাহি দেয় সমর্থন
মেয়েদের পঠনে সমাজ করে অনীহা
বাল্যবিবাহ হয় আজও ঘরে ঘরে,
ডাইনি অপবাদে বৃদ্ধা মা
আজও মৃত্যুকে একাত্ব করে।
তবুও এতেই সায় দিয়ে চলে আদিসমাজ।
হে লেখক তুমি বল
এত সত্ত্বেও বলি কিভাবে আদিসমাজ মাতৃতান্ত্রিক।
বলি হে লেখক
আমাদের এক বিদ্যাসাগর চাই,
গুরুগমকে চাই, ঝান ফুলো আবারো চাই।