শুরুটা ঠিক কোথা থেকে করব বা করা উচিত তা জানি না
হয়তো চিঠিটা তোমার কাছে সেদিন পৌঁছাবে
ততদিনে আমি আর নেই।
মা হারা বৃদ্ধ বাপের একমাত্র আত্মজা
আদুরে ছিলাম বটে;তবে অভাবে তেমন কিছুই জোটেনি।
পনেরো বছর বয়সে বিবাহের বাঁধনে বেঁধেছিলেন বাবা এক ব্যবসায়ীর হাতে
বছর তিনেক বেশ ছিল।
হটাৎ একদিন পতিকে হারাবো
ভাবিনি কখনো স্বপ্নে।
শ্বাশুড়ি মায়ের স্নেহ সইতে না পেরে
বেরিয়ে পড়েছিলেম পথে।
অনেক খোঁজের পরেও সামান্য কাজ মেলেনি
মিলেছে বাড়ির বাবুদের কুনজর।
নেমেছি অয়নে;
দেখেছি অনেক দিনের আলোয় শ্বেত পোশাকি
রাতের আঁধারে কালো পোশাকে,
নর্দমার ওই ঘিঞ্জি কলঙ্কের গলিপথে।
বাবা,তোমার সুস্নেহা,আর তোমার বোঝা হয়ে থাকতে পারেনি।
তোমার পৌত্রী এখন বড়ো হয়েছে
স্কুলে পড়তে চায়,অনেক বড়ো হতে চায়।
আমি তাকে পঁচা নর্দমার আঁধারের গলিতে চায় না হারাতে
রেখে গেলাম তোমার কাছে।
বড়ো কোরো তাকে,স্বপ্নগুলো পূরণ কোরো
আমার কারনে তাকে যেন এ নিগমে না
আসতে হয়
তাই এ পথ বন্ধ করে রেখে গেলাম;
প্রণাম নিও বাবা।