শেনেন শোনেন ভাই সকলে শোনেন দিয়া মন,
হাবু মিয়ার বিয়ার কথা করিব বর্নন ।
একযে ছিল রুটি ওয়ালা হাবু তাহার নাম,
রুটি বেঁচা ছাড়া তাহার না ছিলযে কাম ।
বেঁচিতে বেঁচিতে হাবু হাঁপিয়া উঠিল,
বিয়ে করার জন্য সে বায়না ধরিল ।
বাপে তাহার চালাক অতি ভেবে নাহি পায়,
বিয়ে নামক ভুতটাকে সে কিভাবে নামায়?
কিন্তু হাবু বাপকা বেটা কম চাতুরে নয়,
বউ ছাড়া সে একলা ঘরে কিভাবেতে রয়?
এই ভাবিয়া হাবু মিয়া কোন কামও করিল?
পোটলা পুটলি নিয়া সে রওয়ানা হয়িল ।
হাবু মিয়ার একটা কথা মনে মনে রয়,
বউ ছাড়া আর এক মুহুর্ত ঘরে থাকা নয় ।
চলিতে চলিতে হাবু এদিক ওদিক চায়,
যাকে দেখে তাহাকেই এ কথা জানায়,
কেমন আমার মাতাপিতা একটু বলেন ভাই?
পুতের বউ নাতী নাতনীর কোন কি সাধ নাই?
আমি হাবু রোজগারক্ষম সাবালোক ছেলে,
বিয়াযে করাইতে হবে শাস্ত্রতে বলে  ।
অবশেষে বাপে তাহার কি করিবে ভাই?
বিয়া না করাইলে তাহার কোনো গতি নাই ।
ছেলেকে সে ডেকে বলে শোনরে বোকা ছেলে,
বিয়া তোকে করাবোনা বলেছি কোন কালে?
একটু খানি সবুর করো চারিদিক চেয়ে,
তোর জন্য নিয়ে আসবো রাজকন্যা মেয়ে ।
এর পরেতে কি ঘটিলো শোনেন সকল জনে,
হাবু মিয়ার মন মানেনা সবুর নাহি মানে ।
আসল কথা হাবু মিয়া ডুবে পানি খায়,
পছন্দের কথা বাপকে তাহার কিভাবে জানায়?
এদিকেতে মনের মানুষ চাপ দিতে থাকে,
বিয়ে তাহার ঠিক হয়েছে অন্য ছেলের সাথে ।
এই শুনিয়া হাবু মিয়ার মাথায় বাজ পড়ে,
কি করিবে? মাথাটা তার ভনভনিয়ে ঘোরে ।
শেষ পর্যন্ত হাবু মিয়া সিদ্ধান্ত লয়, বিয়া আমি একাই করবো-মেয়েকে সে কয় ।
যেই কথা সেই কাজ হাবু মিয়া করে,
প্রিয়াকে তার বিয়া করে নিয়া আসে ঘরে ।
বউ দেখিয়া বাপে তাহার আক্কেলও গুরুম,
এ যে দেখি পাশের বাড়ীর পারুলও বেগম ।