১.
বাতাসের অনুভূতি খুলতেই তোমার নামের গেরো-


এইখানে শীতরাত্রি। জঙ্গলের পাশে- এইমাত্র,
উন্মুখর হলো যে, অ-শোক, তার পরিভাষাবিশ্ব
কল্লোল ছড়িয়ে উঠে এলো ফের,
মাধুর্য নয়- বর্ণনা নয়- সুসজ্জিত মায়া এক!


প্রাক্তন হাওয়ার আগে- ধারণ করেছিলে তুমিও- গতিবিম্ব;
দুর্বোধ্য, কাল্পনিক রেখার পাশে-ই সেঁধিয়ে ছিলে, অথচ-
উষ্ণতার আলিঙ্গন থেকে ছিঁটকে গেল রক্তাক্ত শরীর


যুদ্ধচেতনার ওই রাত, আজও উড়ছে দেখো- পরিত্যক্ত ইশারায়;


সেই ভঙ্গুর ও প্রাচীন অভিনিবেশ মান্যতা পায়নি বলে
ঝাঁক ঝাঁক উচ্চাশা উড়িয়ে যাচ্ছি, সুদূরের লোভে;
চোখে এঁকে বিশ্ব-ভূগোলের অচেনা গোলার্ধ-



২.
কুয়াশা ফুটেছে-  হলুদবিম্বিত মাঠও একাকী, এই শীতল  
হাওয়ার ভাষা ও প্রজ্ঞায় অনাস্বাদিত স্বরের সন্ধানে
ভ্রমণ গভীরে যেতে চাইছে আমাদের উদ্যত পা, মনে করো-
এই ভ্রমণ, শীতনিদ্রা শেষে এক প্রস্থ রোদের মতন
যদি না যোজন দূরত্বে পৃথক করে আমাদের সৌহার্দ্য;


তুমি আসবে বলে, শীতার্ত স্পন্দন ঝরে পড়ছে
নিখিলবিশ্বের দরবারে- দূরে, আকুতি বিছিয়ে ধ্যানমগ্ন
না-ফেরার দিন; একাকী মৌনপাহাড় তবুও
ফুটিয়ে তুলছে ভিন্নতর জীবনের অলৌকিক সংগীত;


এভাবেই, চৌকষ একটি দিনের পৃষ্ঠা খুলে গেলে-
ভাবছো, মসৃণ আলোরেখা বেয়ে উঠে আসবে দীপ্তি,
আর পথের সমীকরণে নির্মাণাধীন আলোরেখা
নৈঃশব্দ্যের দিকে বেঁকে যেতে যেতে
সব মনোযোগ নিয়ে নেমে আসবে পৃথিবীর সুপ্রচুর এই শীতে;


বস্তুত, অনাস্বাদিত স্বরের সন্ধানে, হেঁটে গেছে তারা চিরদিন
যাদের মননে টংকার তুলছে পরিবর্তনের সকল বিভূতি...