ঘোর অমানিশার গহন রাত
মশাল জ্বালায় বন্ধু
প্রতিবাদের ভাষা লেখ তুমি
কলমের প্রতি বিন্দু কালি দিয়ে।


নতুন ভারতের কারিগর
হাঁটছে দেখ হাজার মাইল
জমাট রক্ত ধুলা তে মেশে
ফাটা পায়ের ভেতর থেকে।


নতুন ভারতের অণু পরমাণু
যাদের ঘাম ও রক্তে গড়া
তারাই আজ রক্ত শূন্য
অস্থি চর্ম ছাড়া।


যারা চাষ করে,
যারা খাদানে পাথর ভাঙে,
কয়লা তোলে যে কালো লোক,
যারা তিলে তিলে গড়ে নতুন ভারত
তারাই আজ অবহেলিত
লাঞ্ছিত প্রতি পদে।


রাজ পথে, অলিতে-গলিতে,
বৃদ্ধ-যুবা-শিশু-মহিলা
হাঁটছে, শুধু হাঁটছে
ভুখা বা অর্ধাহারে,
রক্ত আর ঘাম ঝরছে যাদের
এরা ছিল কারিগর, এ দেশ গঠনের।


একই দেশের আলো ও জলে
হয়েছে বড়, করেছে শ্রম
যাদের ছাড়া অচল ভারত
তারাই নাকি পরিযায়ী এখন।


যে শিশু টা খিদায় জ্বলে
মৃত মায়ের আঁচল টানে,
যে মা টি খাদ্যাভাবে
নিজের সন্তানকে জলে ফেলে,
যে গর্ভবতী প্রসব করে
পথের মাঝে মৃত সন্তান
তাদের বুকের জমানো ঘৃণায়
সমাজ কি আর সুস্থ হবে?


মহামারী র বাহক যারা
বিদেশ থেকে করোনা আনে
দেশ গঠনের কোন পরমাণু তে
নেইকো লেখা যাদের নাম,
স্বার্থপর স্বার্থ লোভী
দেশের দুর্দিনে লাথি মারে
তারাই আজ দেশে ফিরে
ঠাণ্ডা ঘরে মস্তি করে,
অথচ যাদের হাড় মাস রক্তের নৈবেদ্যে
উঠেছে অট্টালিকা গগন ভেদী,
বলিষ্ঠ ভারতের স্বপ্ন জাগে
যাদের পরিশ্রম আর গরম শ্বাসে
তারাই আজ পরিযায়ী হয়
মরতে হয় পথের মাঝে।


আমরা ওরার যাতা কলে
পিষছে কেমন স্বদেশী রা
এখনো তুমি চুপ রবে
বিবেক কে কি উত্তর দেবে?
বিবেকের কারবারি যারা
বন্ধক রেখে ঠুলি পরে
নির্লজ্জতার চরম সীমাতেও
পদ লেহন করে বিবেক ভুলে।
তাদের কথা ছাড় বন্ধু
কলম ধর কষে
ভারত আত্মাকে জাগিয়ে তোল
সাম্যবাদের স্বপ্ন দেখে।