নৈরাশ্য আর হা-হুতাশ যখন মনের গহন কোণে তীরের ফলার মতো বিঁধতে থাকে। অব্যক্ত যন্ত্রনায় বিঁধতে থাকি আমি। তখন অন্তর মহল থেকে ঠেলে বেরিয়ে আসতে চায় কিছু কাহিনী, কিছু সুর, কিছু কথা। সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায় নিজের অভিব্যপ্তি।
হায় ঈশ্বর! সেই পথ কোথায়? সে পথ কেমন?
জানি, সেই পথ পত্র পত্রিকায়। সেই পথ নির্মম, ধূসর,কঠিন কাঁটাতারে ঘেরা দূর্যোগঘন ঊষর স্থান।
সম্পাদকের পুঞ্জীভূত জ্ঞানগর্ভ ভাষণ উগরে ওঠে কবিতার উপর। ম্যগাজিনের পাতাগুলো যখন নিজের,কবিতার শব্দ-ছন্দ-ভাবনাগুলো তার নিজের মতো হওয়া চাই। ঠোঁটের কোণে শুষ্ক হাসির রেখা ফুটিয়ে অর্থপূর্ণ দৃষ্টি মেলে প্রশান্তি বাক্য
জানায় "আমি এভাবে নয় ওভাবে চাই"।
সেই কুয়াশাঘন রাত্রির অবসান ঘটলো একদিন। "কবিতার আসর" পেয়ে যেন কল্পতরু হাতে পলাম। সুউচ্চ স্বরে কপালে বিজয় তিলক এঁকে মনের গহন অরন্য থেকে তুলে আনতে পারলাম অনেক অনেক কথা।যেন সব পেয়েছি নিজের মতো করে। পেয়েছি অনেক হৃদয়বান কবিবন্ধু,অনেক সত্যের পুজারীকে।
এখন মনে হয় আমি কবি, আমি সম্পাদক, আমিই সমালোচক।