আষাঢ়ের নব  বৃষ্টি ধারায় ভিজেছে আমার মন,
জানিতে ব্ড়ই সাধ জাগিছে তোমার কি ভাবে কাটিছে ক্ষণ?
বরষা ভরা দুপুর বেলা অলস শয়ন পরে ,
পাশে রাখা তব পাশের বালিশ আঁকড়ি ধরিবে করে,
আমার শূন্য জায়গা ভরাতে সম্বল করে তাই -
দীর্ঘশ্বাস হ্য়তো ফেলিবে , ভাবিবে কী? আমি কেন কাছে নাই?
এমনি চিন্তা মগ্ন চিত্তে ঢূলিয়া পড়িবে ঘুমে ,
বরষার ভিজে স্নিগ্ধ বাতাস মাথা ভরাইবে চুমে।
ঘুম ঘোরে তব ঈষত হাসি যুগল ভুরুর স্পন্দন,
অস্ফুট, ঘুমে জড়ানো গলায় বাতাসের সাথে আলাপন।
ওলট পালট অনেক হয়েছে আমার আকাশ প'রে
এখনো তোমার স্মৃতিটুকু অমলীন চিত্তের স্তরে স্তরে
কর্ম বিহীন যবে অবসর একেলা গৃহের  কোণে,
বসে থাকি চাহি রাস্তার প"রে উদাস আপন মনে-
তখনি ঝিলিক মারে তব মুখ আমার পরম ধন,
মনে হ্য় তোমার আসা যাওয়া পথে নূপুরের ঝনঝন।
এই দুপুরেও বৃষ্টি দেখিতে আনমনা মনে স্বপ্ন-
কল্পনা করি হ্য়তো ভাবিছ আমার কথাই এখনো,
বাতাস হতে চাহিছে এ মন ছুটে গিয়ে তোমা ছূঁলে
চমকি উঠিয়া বলিবে কে, কে আমারে পরশিলে ?
অশরীরী আমি , মোরে না পাবে দেখিতে করিবে তুমি প্রানপন,
চোখ মানিবে না, মন তো জানিবে এ কার প্রেমের পরশন।