জীবনানন্দ ঃ
         হে কবি ,তোমার প্রেয়সী বনলতা সেন
          উনিই কি শুধু তোমাকে চেনেন !
            আর আমাদের মত ভক্ত কবির দল,
           তোমাকে নিয়ে আজও যারা পাগল ,
           তারা কি কভূ বোঝেনি তোমায়,
            তোমার অপ্রেম প্রেমে দেয়নি সায় !
             তোমার দেখা  সব অসুন্দরের মাঝ,
              কত সুন্দর দেখি করে বিরাজ ,
              আমরা না বুঝেই গণেছি প্রমা দ,
              বহুকিছু তাই করেছি যে  বরবাদ ৷
               তবুও জানি বনলতার সলাজ আঁখি
               তোমার চেতনায় হয়েছে নীড়ের পাখি,
                আর সেখানে তোমারই অবোধ মন,
               বনলতাদের খুঁজে চলেছে অনুক্ষণ ৷
                যেথা পড়ে আছে ছাই,সাপের খোলস
                নিথর জলের তলে চিতল,কালবোস ,
                আর বনলতা সেথা নিয়ে ইলিসের গন্ধ,
          অন্য সব উপাচারে করেছে যেন বন্ধ;
           পৃথিবী পেয়েছে সেথা নতুন এক রূপ ,
            সুখ আছে ,শান্তি নাই ,বোধ নিশ্চুপ ৷
           ‘ রূপসীবাংলা’র ‘ধানসিঁড়ি’ মাঠে,
             তারাই দিয়েছে মন নূতন পাঠে ;
              নাটক হল শেষ ,ফিরে গেল দরবেশ,
             তবু  লাশকাটা ঘরে রয়েগেছে তার  রেশ ৷
              ধূলায় লুটায় তার ‘ধুসর পান্ডুলিপি ‘
               আর’কীর্তিনাশা’র বুকে জাগে ভূলের ঢিবি ৷
               মনে কি জেগেছে কভূ অমর্যাদার লাজ
              তাই কি অন্যমনস্কে ট্রামনীচে কর বিরাজ,!
              কিম্বা মনেজেগেছিল কি মরণ বিলাস ,
               তাই হলে লাস ,ভেঙ্গে সব বিশ্বাস?
              এভাবেই যাবে কি দিন ,আনন্দবিহীন,
              তোমার কাছে রয়ে যাবে চিরদিন
              মানব সমাজের অপরিশোধ্য ঋণ !