রক্তরাঙা একুশে
     কয়েকটা ফুল ফুটেছিল সেদিন পূবের গাছে
     ঝড়ো হাওয়ায় হঠাৎ এলো তা মাটির কাছে ।
    মাটিতো ধন্য হল ভাই তাদের কাছেতে পেয়ে
    আর আমরা ধন্য হলাম তাদের বুকে নিয়ে ।
    আজও তারা ফুল হয়ে আছে দেখ বুকে
    ওদের বুকে পেয়ে ভাষামা ঘুমায় সুখে ।
    বাহান্নর ফেব্রুয়ারীর সেইরক্তরাঙা একুশে
    তাদের সেই বলিদান ভাবায়তো প্রতি প্রত্যুষে
    গুলির আঘাতে ছিন্নভিন্ন সেই রক্তরাঙা অপরাহ্ন
    আমাদের বুকে এঁকে দিল এক গভীর ক্ষতচিহ্ন ।
    দেখিনি কত রাঙামেঘ ছিল সেদিন যে আকাশে
    ‘বাঙলা বাঁচাও’ ব’লে জানি রব ভাসে বাতাসে ।
    তাদের সাথে কত শত লাখ যে তাজা প্রাণ
    ‘বাঙলা বাঁচাও’ বুলি মুখে হল সেথা আগুয়ান ,
    সঠিক হিসাব তার কেন জানি হয়নিক আজ
    কারণ জানিনা কত বাঙালী আছে বিশ্বের মাঝ ।
    অবশেষে কসাই ছুঁড়ে ফেলে তার রক্তরাঙা কৃপাণ
    বাঙলামাকে ফিরে দিয়েছিল  তার যথাযথ সম্মান ।
      মাটির বুকে শুয়ে সেই ফুলগুলো বরকত,রহমান
      রফিক,জব্বর ভাই সব শোনে বাঙলামাটির গান ।
      আমরা কি পারিনা তাদের দিতে রক্তের প্রতিদান
      বেশী কিছু নয় দিতে পারিনাকি বাঙলা বুলির ঘ্রাণ !