[*** সদ্য ঘটিত নৃশংসতার চিত্র, ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে যে বীর সৈনিকের অকাল প্রয়ান
ঘটে তা স্বরণ করে আমার এই কবিতাটি নিবেদন।
জানি না মানুষের হাতে মানুষ আর কতদিন এভাবে
রক্তাক্ত হবে। ***]
---------------------
আজকের প্রেমের গল্প
---------------------
ওর সাথে দেখা হয়েছিল অনেকদিন পরে,
থাক সে কথা, বলছি ও বিষয়টি পরে।
হঠাৎ একদিন ভোরের বেলায় দেখি,
আমার ফোন টা যে সাইলেন্স মুডে রাখি-
কিন্তু আমি অবাক, পাঁচটা মিস্ কল!
প্রশ্ন করি মনে মনে,কে করতে পারে ফোন কল?
অজানা চিন্তায় মনটা ছঠফটিয়ে ওঠে
কিন্তু ওটা সাময়িক, দেখি কপালে কি জোটে!
মুহুর্তের তরে কৌতুক মনটা আনমনে,
কলব্যাক, অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে কানে-
সুমধুর কণ্ঠে মিষ্টি সুরে আমার অত্যন্ত প্রিয় গান
"আমি চিনি গো চিনি ওগো বিদেশীনী----"
গানের সুরে ভেসে যায় প্রান।
স্বপ্নের ঘোর কাটে যখন গানটা যায় থেমে
পুরুষের কণ্ঠস্বর!ডাকছে আমারই নামে!
কে আপনি? কেন আমার ফোনে কল করেছিলেন?
আর আমার নামটা কি করে বা জানলেন ?
তোমাকে? আমি যে জানি,
আমি তো অনেক বছর ধরে চিনি।
কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনি না!
হয়তো চেন, মনে করতে পারছ না।
অসভ্য,আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই না,
দয়া করে ফোনটা কেটে দিন না।
আপনার কি কোনো কাজ নেই সারাদিন নাকি?
আছে তো,এই যে তোমার সাথে কথা বলতে থাকি।
আমার কিন্তু ভালো লাগছে না, আমি রাখছি।
ঠিক আছে,  যেদিন মনে হবে,আমি কিন্তু আছি ।
তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল পড়াশোনায়,
জীবন সংগ্রামের পথে প্রতিষ্ঠিত হবার বাসনায়।
বিএড করছি ইউনিভার্সিটির গেটে হটাৎ দেখা
আমার ছোট্ট বেলার বন্ধু বিট্টু দাঁড়িয়ে আছে একা।
পরিপূর্ণ যুবক সুঠামও দেহের এক সুপুরুষ অতি!
সেই সরল হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার প্রতি।
আমি হাসি মুখে দুচোখ ভরে দেখি অবাক বিস্ময়ে!
এগিয়েএল কাছে বলল চলো কোথায় বসি গিয়ে।
তারপর সেই অনুভবের সাড়া জাগল দুই প্রানে,
সুখের সপ্ত রঙের ছবি ভাসিয়ে নিয়ে কোন উজানে।
কিন্তু দূর্ভাগ্যের পরিনাম নেমে আসে মোর জীবনে
মনেহল পৃথিবীর সব সৌন্দর্যও অস্তমিত এ মনে।
ঠিক ঐ দেখা হওয়ার একবছর পরে একটা ফোন,
সৈনিকের কফিনে বিট্টুর ফুলে ফুলে সজ্জিত জীবন।


--------*******--------
20/10/2019
বহড়ু, দক্ষিণ 24 পরগনা, জয়নগর