"আমি যেমন চাই"


- এই পাগলী...
- কি রে পাগলা?
- এভাবে দূরে দূরে আর নয়,
তোমাকে সারাজীবনের জন্য খুব কাছে চাই।
- তাই নাকি! তবে করছো কেনো দেরি?
চলো তাহলে চট করে বিয়েটা সেরে ফেলি।
- আমার তো প্রতিদিনই বিয়ে করতে মন চায়,
শুধু তোমাকে তা বলতে পারি না লজ্জায়।
- ছাড়ো তো তোমার লজ্জা,
চলো জোগাড় করি সাজসজ্জা।
- তোমাকে কিন্তু দিতে পারবো না দামী বাড়ি গাড়ি,
কিংবা গয়নাগাটি ভারী,
তবে জেনো রেখো তুমি,
সারাদিন করবো খুনশুটি আর পাগলামি।
- তাই বুঝি! শুনি তাহলে আমার পাগল কি বলে...
- এই ধরো ছোট কোন ঘরে
খাট পালঙ্ক পারবো না দিতে বাসর হবে মাদুরে,
বাসররাতে ঘাটবো পুরানো সব স্মৃতি,
গল্পচ্ছলে কবিতা করবো সারারাত আবৃত্তি।
- বাহ! বেশতো, আর
- পারবো না দিতে কোন স্বর্ণালঙ্কার
মাঝরাতে যখন তুমি থাকবে ঘুমিয়ে,
আমি হুট করে জেগে শাড়ির আঁচলে টান দিয়ে,
বলবো এই পাগলী ওঠো,
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে চলো জ্যোৎস্নায় ভরি মুঠো,
তুমি কি সে গভীর রাতে হাত রেখে আমার হাতে,
চাঁদের আলো মাখবে মাথা আমার কাঁধে রেখে?
- বলো না শুনি, আর কি কি হবে পাগলামি?
- অফিস থেকে এসে কাছে টেনে নিয়ে,
ঘামে ভেজা বুকে ধরবো শক্ত করে জড়িয়ে।
- উফ ছাড়ো তো...
- কোন ছাড়াছাড়ি নেই,
জলদি করে রেডি হয়ে চলো ফুচকা খেতে যাই।
- উহু রান্না করেছি তো...
- ভাবছো কেনো ওতো!
ওটাও খাবো রাতে,
এখন চলো তো আমার সাথে,
ড্রিম লাইটের আলোয় কতদিন দেখিনা মায়াবী তোমাকে,
কতদিন হাঁটিনি খোলা পথে হাতে হাত রেখে।
- কতক্ষণ হাঁটবে? সময় হবে তো ফেরার...
- হারানোর ভয় নেই যার অনিশ্চিতে গমন তার,
ঘনিয়ে আসুক যতই বিদঘুটে আঁধার,
আমারও ফেরার তাড়া নেই থাকলে পাশে তুমি আমার।
কি চলবে সে পথে সাথী হয়ে অনন্তকাল?
- এতক্ষণ আমিও যে বুনেছি স্বপ্নজাল,
বলি বিয়েটা কবে করছো শুনি?
এত মধুর স্বপ্নে বিভোর হয়ে হয়েছি কাঙ্গালিনী।
অতশত বুঝি না আমি যা করার জলদি করো,
খাট পালঙ্ক যেটাতেই রাখো আমরণ হাতটা ধরে রেখো।
- ইশ! কি নির্লজ্জ! বেহায়া! ঠোঁটকাটা!
- হ্যাঁ, সবই আমি, তোমার একমাত্র পাগলীটা।


           -----------------------
12/02/2020
বহড়ু, জয়নগর।