এক মুঠো বিশুদ্ধ বাতাস এনে দাও ভাই
ভালো করে একটু বাঁচার জন্য
বিশুদ্ধ বাতাস নিতে চাই।
ওরা বলেছিল আমাজন জঙ্গলে
বিশুদ্ধ প্রান-বায়ু আছে
ওখানকার পশুপাখিরা
বড়ই আনন্দে বাঁচে।
কিন্তু কে যেন শোনাল এসে
আমাজনেও নাকি আগুন লেগেছে!
সেখানেও কি বর্বর নর পশুর থাবা বসেছে!
এই পৃথিবীর ফুসফুস যেটা
সেখানেও কু-নজর পড়েছে।
আমাদের সুসজ্জিত শহরের বুকে
আধুনিক সভ্যতা যাকে বলছি,
বৃক্ষ বিহীন,সবুজহীন নেড়া সভ্যতাকে,
পশুপাখিরা ভয় পায় এ শহরকে।
এখানে বিশুদ্ধ বাতাসের বড়ই অভাব,
বাহ্যিক চাকচিক্য, ধোঁয়াধূলায় আবির্ভাব।
কালো কার্বন বাতাসের সাথে কানামাছি খেলে,
হৃৎপিণ্ডটা ওঁত্ পেতে আছে স্তব্ধ হবে বলে ।
আজও কিছু বৃক্ষ আছে বেঁচে
ধুলার চাদরে মোড়া
যেটুকু অক্সিজেন ছাড়ায়
তা দিয়ে রুগী কি বাঁচে?
এখানে পাখিরা কি গান গায়?
কাঠবেড়ালি আর কি নাচে!
ব্যস্ত মানুষ নেশার মতো
জীবন যুদ্ধে মরিচিকা পেছনে ছোটে।
এখনও সকালের সূর্যের হাসি
ভোরের আলোতে সবুজ ঘাসে
মুক্তঝরা শিশিরে ধরনী সৃক্ত কবোরী এলোকেশী।
বিবেক চেতনা তুমি ফিরে এসো
এ ধরনীর স্নেহ গায়ে মেখে
প্রকৃতিকে আপন করে ভালোবাসো।


------------*******----------