আমি এক জীবন্ত খেলনা গাড়ী
মা এর করো স্পর্শে
সেই কোন সুদূর অতীতে
ভূমিষ্ঠ হয়েছিলাম পরম স্নেহে
মাতৃ জঠোর হতে  
মাতৃ সুধা পান করে।
প্রবিত্র ভালোবাসার সান্নিধ্যে
দেহ মনে ভরে উঠেছিল অনাবিল আনন্দ।
দুচোখ মেলে দেখেছিলাম এই বিস্ময়ভরা বিশ্বজগৎ।
বিধাতা আপন অন্তরে
স্থাপন করে দিয়েছিলেন
হৃৎপিণ্ড নামক এক আশ্চর্যসমন্বয়ে যন্ত্রটি।
যেখানে ভোরে দিয়েছিলেন
রাশি রাশি দুঃখের মাঝে
স্বচ্ছ পদ্মপাতার উপর
একবিন্দু জলের মতো সুখ।
জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন
জলছবির মতো সাজানো।
সাফল্য আর ব্যর্থতার মাঝে
আমি আজও খুঁজে বেড়াই
যথার্থ জীবনের মানে।
আমি নেশাগ্রস্তের মতো
জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে
সুন্দর বাসস্থান তৈরি করলাম
প্রচুর অর্থ উপার্জন ও করলাম
পারিপার্শিক পার্থিব উপকরণ সংগ্রহ করে
জীবনকে সুখের সাগরে
ভাসিয়ে দিলাম,
কিন্তু শান্তি নেই কেনো মনে?
মরীচিকার মতো কেনো হারিয়ে যায়
কি এক অতৃপ্ত যন্ত্রনায় মন
ঘুন ধরা পোকার মতো
কুরে কুরে খায়।
মুক্তি নেই,! বিশ্রাম নেই
সন্মান আর প্রেমহীন
অন্তঃসার শূণ্য ধূসর মরুময় রুক্ষ জীবন।