লকডাউনের সংকল্প


থাকবো নাকো অফিস ঘরে দেখবো এবার পাকশালাকে
একুশ দিনের লকডাউনে শিখেই নেব রান্নাটাকে
               এতদিন তো এনেই খালাস
               গিন্নী করেন তত্ত্বতালাস
কেমন করে তৈরি করেন মটর পনির পালংশাকে
কিংবা পেঁয়াজ রসুন দিয়ে চিকেন কিংবা মাটনটাকে।


কেমন করে ময়দা মেখে লুচি বেলে বেলেনচাকি  
আবার কেমন গাল ফুলিয়ে প্লেটের থেকে দিচ্ছে উঁকি
               বেগুন ভাজা মধুর স্বরে
               তেলে ডুবে আওয়াজ করে
কেমন করে কোমল হয়ে পেটের মধ্যে যায় যে ঢুকি
আমি শুধু উতল হয়ে খেয়ে যাই আর গন্ধ শুঁকি।

গাছপাঁঠাটা গাছের ডালে ঝুলছিল যে রোদের তাতে
কেমন করে এঁচোড় হয়ে পড়লো এসে আমার পাতে
               কেমন করে মসুরের ডাল
               আজ হলদে কাল ছিল লাল
অবাক সে কোন মন্ত্রবলে ননস্টিকের ওই কড়াইটাতে
আমি শুধু ভেবেই মরি কি জাদু ওই হাতদুটোতে।


অসাধারণ রান্না করেন গিন্নী চিকেন বিরিয়ানী
প্রন-ফ্রায়েড রাইস ছুটির দিনে খাওয়ার পাতে যোগান তিনি
               কখনো বা ডিমের ডেভিল
               উজ্জল করে খাওয়ার টেবিল
চক্ষু বুজে গিলেই ফেলি অসাধারণ ওই দ্রব্যখানি
সব্বাইকে খাইয়ে খুশি আমার খোকার মা জননী।

সর্ষে দিয়ে পাবদা মাছের ভুলি নাই সে স্বাদখানা
মশলা কষা ট্যাংরা মাছের আভিজাত্য ভুলতে মানা
               দই ইলিশের অমর জুটি
               কখনো বা চিতল পেটি
ভেটকি মাছের পাতুরি আর তপসে ভাজার নেই তুলনা
ভুলতে পারি রুই কাতলার গাদাপেটি বনেদীয়ানা?


একুশ দিনের লকডাউনে সবরকমের রান্নাবাটি
শিখবো আমি মনোযোগ দিয়ে রান্নাঘরের খুঁটিনাটি
               যাবো নাকো আর অফিসে
               রান্নাঘরেই থাকবো বসে
খাওয়ার পরে ঢেঁকুর তুলে আর নেব না শীতলপাটি
একটু শুধু দেখিয়ে দিও শুনছো তুমি খোকার মাটি!


---------------------------------------------
27/03/2020
বহড়ু