ম্লেচ্ছ জাতিভেদ


পাড়ার চায়ের দোকানেই-
সবাই আড্ডা দেয় পাশাপাশি একই বেঞ্চে বসি;
সমাজের উত্থান পতনের হাজারো আলোচনা
ঐ চায়ের আসরেই!
আমরা জীব শ্রেষ্ঠ নই তুচ্ছ কিম্বা ক্ষুদ্র!
ভাবখানা এমন যে,সব যেন বিশাল জ্ঞানের সমুদ্র।
একই কাপ বার বার ধুয়ে নির্ভয়ে দিই চুমুক!
কখনও পকেট থেকে বিড়ি দেশলাই
এগিয়ে দেয় সামনে বসে থাকা বন্ধুকে,
স্কুল,কলেজের কক্ষে একই বেঞ্চে বসে
গায়ে গা ঘেঁষে ক্লাস করতে দেখ সকলকে।
স্কুলের গেটে মশলামুড়ির দোকান থেকে কেনা-
একই ঠোঁয়া থেকে হাত গলিয়ে মুড়িমাখা
পরম তৃপ্তিতে খাওয়া।
তখন কি মনে হয় না!
তুমি মুসলমান আর আমি হিন্দু।
ভীড় ট্রেনে বাসে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে-
যখন করি কর্মসূত্রে প্রত্যহ যাতায়াত
তখন কি মনে হয় ওরা শত্রু কি বন্ধু!
হঠাৎ গাড়ির ঝাঁকুনিতে ধাক্কা খেলে
সভ্য মস্তিষ্ক তখন কি প্রশ্ন করে?
ওরা কোন ধর্মের, ঘৃণিত কোন নিম্ন শ্রেনীর জাত!
প্রযুক্তির সাহায্যে রক্তের শণিত ধারায়
নিঃসঙ্কোচে অসহায় রুগীর প্রাণ বাঁচায়।
তখন প্রশ্ন করো কি কখনও নিজেকে
এ কোন ধর্মের রক্তের স্রোত!নয়তো নকল!
জীবনসংগ্রামের হাজারো উপকরণ-
ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর করের স্পর্শে
প্রাণ পায় সোনার ফসল।
অন্ধগোড়ামীর শত সংষ্কার তখন কোথায় থাকে!
আকাশের বুকে রাতের তারারা শুধু দেখে-
আর কেমন আমাদের মূর্খতাকে ব্যঙ্গ করে,
আর মিটিমিটি হাসতে থাকে।

************************
************************
১৫/০১/১৪২৭
28/04/2020
বহড়ু, জয়নগর।