বহু বছর পরে
হটাৎ ধূমকেতুর মতো একদিন সন্ধ্যায়
দেখা হল ;
দূর থেকে শুধু দেখছিল।
ওরা পরস্পর বিপরীতমুখী, একে অপরের দিকে
প্রথমেই একটু অবাক হয়েছিল তারা,
তাদের দেখা হবে,
অথচ না দেখার ভান করে চলে যেতে হবে।
সে যন্ত্রণার অনুভূতি সে কেমন করে উপেক্ষা করবে!
নিজেকে শক্ত করে
নীল আকাশের পানে তাকিয়ে
অন্যমনস্ক হবার ব্যর্থ চেষ্টা,
পুরানো অনেক কথা মনে পড়ে যায়।
ভুলতে চেষ্টা করেও পারে না ভুলতে।
আজ বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়েছে,
তার খুব পছন্দের রঙ
তাও সে জানত!
হাল্কা পারফিউমের চেনা গন্ধটাই নাকে আসে,  
মনে করিয়ে দেয় অতীতের সেই ফেলে আসা স্মৃতি।
রাস্তার পাশে গাছপালা, দোকানপাট
এইসব কেমন ঝাপসা হয়ে যায় এক মুহূর্তে!
হটাৎ সে থমকে দাঁড়িয়ে গেল,
জানি না তাকে দেখছে কি অন্য কোনো কিছু---
নিজেকে আর প্রতিরোধ করতে পারেনা।
নিঃস্পলোক ভাবেই পরস্পরকে দেখে
দুজনের চোখ অশ্রুসিক্ত টলমল!
মুখে সেই নির্লিপ্ত অকৃত্রিম হাসি!
একটি চিরন্তনী পার্থক্য শুধু ঐ লাল সিঁথি।
বুঝিয়ে দেয় সে তার থেকে সহস্র যোজন দূরে।
---------------------------------
**(একটি কৈশোর জীবনের অপরিণত প্রেমের কাল্পনিক ঘটনা এখানে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করলাম।)
রচনাকাল- 20021
বহড়ু জয়নগর দক্ষিণ ২৪পরগনা