দুখিনী মায়ের ঘরে -
আজও জ্বলেনি আলো।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হোঁচট খেতে খেতে,
একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে অনাহারের চিতায়।
বেরঙীন মনে হাড় গিলগিলে শরীরে দেখে-
বাবুদের রঙমশালের ঢং।
নিজের হাতে তৈরী মাটির প্রদীপে,
দেওয়ার মতো একটু তেলও নেই ঘরে।
বাখারির বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে,
সঞ্চিত আছে অভাব।
মায়ের ছিন্ন বসনের ফুঁটোতে চোখ রেখে-
ছেলেটা দেখে আলোর রোশনাই।
ফানুসটা যতই উপর দিকে উঠতে থাকে,
ততই ক্ষুধার জ্বালায় ছটপট করে ছেলেটা।
হাভাতে হয়ে মা করুণভাবে তাকায়-
ভাতের হাঁড়ির দিকে।
হাড়ি তখনও অনাহারী বাতাসে পূর্ণ।