একদিন সকালে
পাড়ার মন্দিরের চাতালে
দেখি, এক সাধুজন আছে বসে।  
পড়ছে সে খবরের কাগজ।
দৃশ্য যা অনিয়মিত, অসহজ।  
করে প্রনাম,  করি  জিজ্ঞাসা
কি কারণে আগমন প্রভু  ?
নেই কেন মুখ মাস্কে ঢাকা ?
নামিয়ে রেখে কাগজ
বললেন হাসিমুখে ।
কারন কিছুই নয়,এতো আমার রোজের বাতিক
কিন্তু, তুমি তো দেখছি বড়ই সামাজিক !  
বিশ্বাস করো কাকে ?
পশ্চিমী বিজ্ঞান, না প্রকৃতি মাকে ?
কার কৃপাতে আছো বেঁচে
এই মর্তলোকে ?
সম্পর্ক যার জীব অণুর সাথে
জীবনের উৎস থেকে
যে করে সন্তানের জীবন গঠন জীবাণু রুপে ।
কিভাবে সে হয়
সন্তানের মৃত্যুর কারন ?
বুঝলে কিভাবে ?  
প্রকৃতি শুধু তোমার ধ্বংসের কথাই ভাবে ?
মানুষের মত তারও কি বিকৃতি ঘটে ?
যদি এটা মানো
প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান বিপরীত ক্রিয়া থাকে,  
তাহলে সব মন্দেরও ভালো নিশ্চয়ই আছে ।  
খারাপটাকেই দেখেছো শুধু
ভালো কোথায় গেল ?
জানো কি তাহলে ?
গেলে কম প্রানবায়ু শরীরে
পরমায়ু  কমে
কমে প্রতিরোধ ক্ষমতা।  
যারা বলে,  করবে  রক্ষা
তারা দেয় অভয়
ভালো মন্দ দুটোই বলে
শঙ্কা জাগায় না ।
হলে সংক্রমণ কোটিতে একটা
বড় করে কাগজে ছাপায় না।  
জানো কি তবে ?
ক্যানসার বলেও এক ব্যাধি আছে ?
এক  অঘোষিত মহামারী
প্রতি পাঁচজনে একজন মরে।  
যারা বলে সচেতন নাগরিক নিজেকে
জিজ্ঞাসো  তাদেরকে  
তারা  কেন  চুপ করে বসে থাকে  
শুনিয়ে সাবধানবানী ?  
করেনা কেন বন্ধ উৎপাদন ,
যা তার উৎস এখন ?  
উপরন্তু চলে প্রচার আর বিজ্ঞাপন
বিক্রি বাড়াতে তারই ।
সবই তো পাও দেখতে ?
তবে কেন পারো না বুঝতে ?  
কারা হিতৈষী আর কারা ব্যাপারী ?
কেন হয় লক ডাউন সেই দেশে
যেখানে নব্বই শতাংশ করে বাস
দারিদ্র সীমার নিচে ?
না করে নকল
করো অন্বেষণ
সেই সব কারন
যা দেখায় না টিভিতে
ছাপায় না কাগজে
বোঝা যায় সহজে  
শুধু চোখ কান খোলা রেখে ।