বহু বছর পরে
একদিন কাকভোরে
মহাত্মা গান্ধী রোডের এক কলপারে
পেলাম দেখা সেই  বুড়ো দধীচির ।
জীর্ণ  কঙ্কালসার  মেরুদণ্ডহীন
মাথা তার ছুয়েছে জমিন ।  
সে তখন সদ্য গঙ্গাস্নান সেরে
চলেছে হেটে পিচের রাস্তা ধরে।
হাতে নেই কমণ্ডলু
প্লাস্টিকের বালতি , জল ভরে।
এই পথ  দিয়ে যারা যাতায়াত করে
কখনও পারেনি  চিনতে তাকে ।
যদিও দেখেছে বহুবার,  চিত্রপ্রদর্শনিতে  
জীবনমুখী গান আর কবিতার স্রোতে  
তাদের অনেকে  পেয়েছে সম্মান , পেয়েছে পুরস্কার  
তবে আসেনি তাকে কেউ দেখতে  আর
জানতেও আসেনি
কিভাবে হল ক্ষয়,  তার হাড় ?
মেরুদণ্ডহীন  কঙ্কাল ?    
কোন ব্রিত্রাসুর নিয়েছে ছিনিয়ে তার যৌবনকাল ?
জানে এখন নেই কোন ক্ষমতা  তার
পার্থিব কিছু  দেওয়ার ।
তবুও চাইলেই আশীর্বাদ
বাড়িয়ে দেয় হাত l
বলে, ভালো থেকো বাছা l
আসলে এখানে , সকালে
তার গাওয়া স্তোত্র পাবে শুনতে ।
সর্বে ভবন্তু সুখিন, সর্বে সন্তু নিরাময়া............।



( দধীচি হলেন পুরানে বর্ণিত সেই  ঋষি যিনি ব্রিত্রাসুরের হাত থেকে দেবতাদের রক্ষার জন্য  স্বেচ্ছায়  নিজের অস্থিদান  করেছিলেন )