শুনেছি,  যা হয় দৃষ্টিগোচর
সেটাই নয় প্রকৃত সত্য
অগোচরেও থাকতে পারে কিছু তথ্য
ব্যাতিত যার, সম্পূর্ণ নয় অর্থ ।
হতেও  পারে অন্য  অনেক কিছু, বিপরীত  
নয় যা  সহজবোধ্য , দৃশ্যের  অতীত  ।
জানে, তবুও ভেড়ার মত চলে অগণন
যা খায় একজন
সকলে তাহাই খায়
বিষ কিবা অমৃত
ফারাক বুঝে না পায়।  
হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সভ্যতার পথ দেখায় ।
সমাজও  চলে সেই পথে
যে পথে তাকে চালান হয়।  
যানবাহন কারখানার দূষণের বায়ুকে করে  সবুজ
উৎসবের বাজীতে দেখানো ভয়  
দৃষ্টিগোচর হয় ?
হয় না জানি
যখন  জীবাণু করে ধ্বংস দেশের অর্থনীতি
অনেকেই আবার তখন ,
হয়ে যায়  আরবপতি,  রাতারাতি
খুব সহজেই , না নিয়েই  কোন পূর্বপ্রস্তুতি ?  
চালু করলে ট্রেন,  বেড়ে যায় সংক্রমণ
বাসে চরলে সেটাই যায় কমে  
হলে ভোটের প্রচার সংখ্যাটা আরও নামে ।  
আবার কারও চাকরী , ব্যাবসা গেলে
রাষ্ট্রপুঞ্জ হয়ে সকলের , দুর্ভিক্ষের গান গায়  ।
উপায় বলে না কেউ,  কেবলই  ভয় দেখায় ।
নিয়মেই বেঁধে রাখতে চায় ।
একের দোষ,  অন্যের ঘাড়ে চাপায় ।
অতিমারী কি তবে এসবই  শেখায় ?
বলে কি,  মৃত্যুকে কর আলিঙ্গন ?
যদি আক্রান্ত হয়ে  না হয়,  তবে  
ধীরে ধীরে,  অভাবে ?  
একাকী , নিজেকে বদ্ধ রেখে ।
বিধি কি একাই লেখে সবকিছু ?
নাকি মানবেও  লেখে কিছু  ?
তোমার আমার ভবিষ্যৎ , কারা দ্যাখে ?
বলে কি তারা আসলে কি চায় ?
দৃশ্য বলে যে  কথা , পরিনাম  কি একই হয়  ?
কিভাবে জন্ম নেয় সংশয় ?
তবে সংশয়ের  মরন যেন লেখা না থাকে
মড়ার পরে,  হাতে যেন ডেথ সার্টিফিকেট  থাকে
না হলে মৃতদেহও ছোবেনা লোকে
হতে পারে স্থান লাশকাটা ঘরের বারান্দায়।