আলোক প্রদীপ জ্বেলে
যে নক্ষত্ররা দিত  কল্পনার গতিপথ এঁকে
রুপকথার ছলে ব্যাক্তিমানসে।  
যে পথে হত যোগাযোগ পূর্বপুরুষের সাথে ।  
সেই পথ আজ সভ্যতার যান্ত্রিক চেতনায় মিশে
পদ্মহীন শুষ্ক এক জলাশয় যেন ।
অবশ মস্তিস্কের প্রতিটি কোষে
চাঁদের চরখা কাটা বুড়ী নয়
যন্ত্রের উদ্দাম ধারাপাত শোনা যায়  
তাতে ডুব দিয়ে শিশুর স্বপ্ন
ছোট হতে হতে ক্রমশ সঙ্কীর্ণ
বোকা বাক্সতে বন্দী, ক্ষুদ্র ভাবনায়  ।
তার খালি চোখ  আর দ্যাখেনা আকাশ
দ্যাখেনা নক্ষত্রদের ঘর
তারা জানে
ওখানে ভিনগ্রহিদের বাস।
প্রতিকুল প্রকৃতির কাছে    
কল্পনা বিলাসিতা এখন।  
নক্ষত্র , চাঁদের  মাটি
ধাতু আর পাথরের ঘাঁটি
কেবল গবেষণার কঠিন  রসায়ন।