বন্ধ বাগানে রবি, শশী হায়
     কদম তলায় ঢেউ খেলে যায়।
          সিঁদুর মাখা উচ্ছে বাগান,
               কেটে খায় তারা কুমড়ো।


          বেগুনের মতো ঝুলছে পেছনে,
      চুষে চুষে হচ্ছে মাজরা।
ধান ক্ষেতে প্রকল্পিত অগ্নি-শয্যা।


    গাছের কোটরে উঁকি দেয চিল,
        উঁকি দেয় সব বাহাদুর।
            উচ্ছে বাগানে লতরে পড়েছে
                দুপুরের সেই লেলীহান রোদ্দুর।


          সূর্যমুখীর মতো ফুটেছে কালো ছায়া মাখা এক ফুল,
      নাম না জানা, তবুয়ো প্রানে ভয়ের ধারনা।
  কাতর লজ্ব্যাবতী;
কাতরাইছে পুরুষত্বায় এবং নারী বীরত্বে।


      কলা যখন বাড়বে রাগে,
  তখন তারা খাবে ছালা ছাড়িয়ে।
  রাগ বাড়া'বাড়ি মানে গলায় দড়ি
চলো তাই সবাই জনসমুদ্রে মুখ গুঁজি।
এই ফল ফলের নয়, স্বপ্ন ভবিষ্যতের।
তবে কেন ভয় পায় মুখ তুলে দাঁড়াতে।
আমি তব মর্মা হত,শুকনো লজ্ব্যাবতী
শুকনো কাঠে কোটর করি, ক্লোরোফিল ত্যাগী।
এক বালতি জরীর মধ্যে আপন মুখ ঢাকি।
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে শুয়ে হাজার স্বপ্ন দেখি।
সকালের আলো দেখলে, কোটর খুঁজে মরি।