*****স্বাধীন ভারতের পশু*****
                    ˢᵘᵇʳᵃᵗᵃ ᵖᵃᵘˡ
                  
স্বাধীন ভারত যে এখন দাসত্ব বোধে ভুকছে তার কোনো সন্ধেহ নেই।
আমদের এই দেশের আইন ব্যবস্থাকে মধ্যমা দেখানোর লোকেরও অভাব নেই।
তারা যে এই সব উলঙ্গ মনের মানুষদের টাকার লোভে ,
ওরা খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত জানা সত্বেও!
আইনের নুন খেয়ে, আইনের দেয়ালে ইঁদুরের গর্ত বনিয়ে দিয়েছে।


আর ওদের কথা কী বলবো ?
ওদের মধ্যে চরিত্র, মনুষ্যত্ব বোধ এবং সম্পর্ক কোনো কিছুর মূল্য নেই।
ভগবান ওদের পশুই বানাছিলো, সমস্ত রকমের পশুর গুণ ওদের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু, ভুল বশত ওদের মানুষের চেহারা দিয়ে মানুষের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এতে তাদের কোনো দোষ নেই, যারা কু-কর্ম করছে, আর যারা তাদের সাহায্য করছে।
এদের এই খারাপ কাজ কর্ম করার জন্য যারা দাই,
তারা আর কেউ নয় এই সমস্ত রক্ত চোঁষা কীটদের জন্মদাতা গন।
তাদের দোষ দিয়ে কী লাভ !
তারা যে শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে, তার making process(আধা মানুষ, আধা পশু)তো ভগবান পাঠিয়ে দেয়নি সঙ্গে ;
ওই শিশু যখন জন্ম হয়, তখন তার নির্বোধ কান্নায় সবাই হেঁসেছে।
তার সেই নির্লোভ এক জোড়া চোখ, বিনা দাঁতে ঠোঁটের হাঁসি ।
দেখে মনে হয়েছিল, এ কোনো দেবতার দূত।
তার সেই ছোট্ট হাত দুটো ধরে, জন্মদাত্রী স্বপ্ন দেখেছিল
ছেলে বড়ো হয়ে, মায়ের নাম উজ্বল করবে, মানুষের মতো মানুষ হবে।
এই স্বপ্ন নিয়েই নিজেরা না খেয়েও তাকে খেতে দিয়ে বড়ো করছে।
একদিন তাদের ছেলেও না খেয়ে বৃদ্ধকালে মা-বাবাকে খাওয়াবে।
এই ভাবনাটা কোনো দোষের বলে মনে করি না।
তারা যদি জানতো, দুধ, কলা দিয়ে তারা কাল সাপ বড়ো করছে ।
যা কিনা নারী সমাজের কলঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াবে পরবর্তী কালে।
তাহলে তারা(পিতা, মাতা) ওই দুধ, কলায় বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিতো।
আর, ভগবান যদি making process পাঠাতো তাহলে জন্ম হয়ার পরেই কবরে ঠাঁই মিলতো।
মা-বাবা সঠিক শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করে সর্বদা এবং দেয়।
এরা কিছু স্যেকুলার- এর প্রলোভনে পড়ে
অথবা অশ্লীল জগতের মোহ-মায়ায় আপ্লুত হয়ে,
পশু বৃত্তিটাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে জাগিয়ে তোলে।
আর এরা যদি কখনো কোনো গছে সুন্দর ফুল দেখে,
ওটা ছিঁড়ে না নেওয়া পর্যন্ত শন্তি অনুভব করে না।
ওটার সুন্দরতা নিজের পায়ের তলায় নষ্ট করবে, তারপর শান্তির শ্বাস নেবে।
যারা এই সুন্দর বনানীর সুন্দরতা সহ্য করতে পরেনা,
তাদের জন্য এই পৃথিবীর মরুভূমিও তৈরি হয়নি।
তাদের মাটির নিচের নরক যন্ত্রণাই প্রাপ্য।
একেতো তারা পৃথিবীর সৃষ্টিকারী দেবীকে ভোগ্য ভেবে আশা করছে ।
তার ওপর নিজের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে, মাটির পুতুল নিয়ে মাতৃ সেবা দেখাছে।
ওদের মতো ভন্ড জঘন্য কুকুরদের জন্যে যদি পৃথিবীই একমাত্র স্থান হয়,
তাহলে ফুলের মতো ছোটো নিষ্পাপ মেয়েটির স্থান এখনে নয়, হয়তো মঙ্গল কিংবা চাঁদে।
যদি চাঁদে স্থান হোতো তবে আইন ব্যাবস্থার কিবা প্রয়োজন।
আর যদি আমদের বাংলা পুরো পৃথিবী হয়ে যায়,
তাহলে আর কিছু হোক না হোক শ্লীলতাহানী প্রতিদিনের প্রথম পাতায় পাবে।
রাজনীতিবিদ রাজনীতি ভাবছে, শিক্ষাবিদ শিক্ষা ভাবছে,
বিজ্ঞানীরা সব বিজ্ঞান ভাবছে, তাদের যে মেয়ে রয়েছে তাদের কথাকে ভাবছে।
তাদের ভাবনার কোনো শেষ নেই, তাদের কতো কী ভাবনা...
তারা কজের ফাঁকে ভাবছে মহিলা সহকর্মীর শরীরের ভাষা, বাসে পাশের শিটের মহিলার কথা।
তারা যতোই বুদ্ধিমান হোক তাদের মাথায় এটা আসছেনা,
তারা যে ভাবে অন্যের সম্মান আশা করছে,
অন্য কেউ ঠিক একই ভাবে তার সম্মানের আশায় লালা ঝরাচ্ছে ।
আর, সমাজ রক্ষাকারীর দল! ওরাও ঐ নেশায় আশক্ত।
আমি, আমিতো তো ভাবুক শুধু ভবি করে এই নির্মূলে নেশা মেটাবো।
ভাবতে ভাবতে একদিন মোরে যাবো ।
যতোদিন সমাজের রক্ষকরা ভক্ষকদের না গ্রাস করছে,
যতোদিন না পুরুষ জাতি তাদের সম্মানের কথা ভাববে,
ততোদিন এই সমাজের নারীদের আর্তনাদ আর রক্ত ক্ষরণ,
অশ্লীল জগতে মশগুল মানুষদের প্রেরণা হয়ে জাগবে।
স্বাধীন দেশের নারীদের স্বধীনতার পিণ্ডদান করবে ওরা।
নিজেদের মা, বোনের সম্মান কামড়ে খাবে ওরা।


তুমি আর ভালো কোথায় !
তোমকে আমি দেখেছি, পথ চলতে নারীদের কুকথা বলতে।
তুমিও যে কাল ওদের খাতায় নাম লেখবেনা তার কোনো প্রমাণ আছে?
তুমিও কাল সুযোগ বুঝে ওদের খাতায় নাম লেখবে॥
রাজনীতি আর টাকার জোরে আরো সাহস কুড়াবে।
ভয় পেয়োনা তোমায় যে আগলে রাখছে,
সেও ওই খাতায় অনেক আগে নাম লিখিয়েছে।
পুরোনো কাগজ উলটে দেখো, উনার নামও পাবে লেখা।
কোনো এক মৃত নারীর রক্তে, যেটা আজও তোমাকে ঘৃনায় ভরিয়ে দেবে।
চোখে অশ্রু বাঁধ ভাঙ্গতে পরে, যদি তুমি সত্যি পুরষত্বের মানে বোঝো।
পুরুষত্ব প্রমাণ করার জন্যে, জগৎ সৃষ্টিকারিণীদের চোখের জল আর বুকের রক্তক্ষরণই কী একমাত্র পথ।
এরম পুরুষদের ধিক্কার যারা নিজের স্বার্থে মায়েদের বাজারে দাঁড় করায়।
তুমি কী এখনো চাও এই জগতে পুরুষ, নারী হয়ে বাঁচতে?
আমি চাইনা ...
আমি চাই নারী সমকামী হয়ে, পুরুষকে দিক বেঁধে।