শীতের ভোরের কুয়াশা শিশির
দুপুরে এলোপাতাড়ি ঝড়
সন্ধ্যার গোধূলি ছায়া, পুরনো এবড়ো-থেবড়ো কাঁথা
ঐ আকাশে সব জমাট আছে বাঁধা
বিক্ষিপ্ত সাদা মেঘ কালি হয়ে যায়
হয়তো তুমি দেখেছ অথবা দেখ নি
হেঁটে হেঁটে অনেক নদী পেরিয়ে কাকে খুঁজছো তুমি?
সে যে দাঁড়িয়ে তোমার কাছে ছাপড়া ঘরের পাশে
আসলে নিজের আয়নায় তোমাকে দেখতে অস্পষ্ট লাগে
ঝাঁকে ঝাঁকে মুক্ত বলাকার দল, বাঁকা পথে চলে ওরা তা নিশ্চিত জানে
আর কতদিনের ক্লান্তি ঝেড়ে দেখতে পাবে, আকাশ ফাটা আসল ঠিকানা
দলছুট মাতাল পাখিটি আর কোনদিন দল খুঁজে পাবে না
দৃষ্টির বাইরে দৃষ্টি নেই, পড়ে আছে এক ধুয়াসার সাগর
ইচ্ছা হলো তোমার এক মেঘের দেয়াল ধরে ধিরে
দৃষ্টির সীমানায় যেতে চাও –
তুমি ভয় পেলে না, যদিও বিশাল প্রান্তর ছিল বড় বাঁধা
ধুলি কণার মতো চাপা গলি ধরে অনেক দূর পাড়ি দিলে
অবশেষে খুঁজে পেলে কাঙ্ক্ষিত কক্ষপথ
ঐ পথ অনেক পথ ধরে এঁকে বেঁকে চলে গেছে মহাকাশ ’পর
এক নরকঙ্কাল কক্ষপথের পাশেই সাদা বেশে দাঁড়িয়ে আছে সীমানায়
যা দেখতে ছিল ভয়ংকর, অদূরে বিশাল শৈবাল দীঘি
কোটি নরকঙ্কালের স্তূপে ছিল ভরা –
ঐ কক্ষপথে কোন এক তপ্ত দুপুরে হয়তো সূর্য-চন্দ্র-গ্রহ তারা গতি ভুলে
সংঘর্ষে আর একটা পৃথিবী ভেঙ্গে পড়েছিল সমুদ্রের বুকে
যা কেউ দেখেনি কোন দিন; এতক্ষণ বুঝি মিথ্যা বলা হলো
হে সত্য মানুষ জেনে রেখো –
দৃষ্টিটা অদূরে বারবার আছাড় খায় ঐ ভাঙ্গা দেয়ালে।