টর্নেডোর থাবায় উড়িয়ে নিয়ে গেল
কৃষ্ণচূড়ার সব লাল ফুল
পড়ে থাকে লণ্ডভণ্ড কৃষ্ণচুড়ার দেহটি
বঙ্গজ-এর মাতা কাঁদে কন্যা হারা শোকে
মাতার দুটি চোখ জলে ভিজে বন্যা বয়ে যায়
অন্ধকার ঘনীভূত হয়, পড়ে থাকে নীরব নদী;
উচ্ছ্বাস হারা বৈদগ্ধ্য প্রাণ কিছু প্রশ্ন রেখেছিল
পাহাড়ের কাছে, নির্ভীক সমুদ্র আর
এক ভুতুড়ে রাতের স্তব্ধতার শূন্য দ্বারে
কিন্তু কোন উত্তর এলো না
অবশেষে আহত হৃদয় এক ধাক্কা খায়
মুখ থুবড়ে ধুলায় পড়ে থাকে
রক্তমাখা মুখ সাক্ষী দেয়, সে দিনের বীভৎস চিত্র
নগ্ন নারীর চাপা চিৎকার ভেসে যায়
রাজপথ থেকে ফুটপাত, ফুটপাত থেকে গেয়ো পথ
গড়ায় বিশ্রদ্ধাবাসা রমণীর গন্ধ
আজ লঙ্ঘিত শির উঁচু থাকে, ভয় পায় না
পৃথিবীর সভ্যতা হয় ধু-লুণ্ঠিত, মানবতা ভ্রুকুটি নিকুচি বিবেক
বারবার দংশিত হয় মহামায়া নারী;
ক্লান্তিলগ্নে সংকীর্ণের পথ ধরে তবু
মূল্যবোধের মশাল জ্বলে উঠুক
পাতাল ফুঁড়ে উঠে আসুক কোটি জনতার নায়ক
রবার্ট ব্রুশ, তৈমুর লং, আর চেঙ্গিস খান।