সকাল থেকে মন ভালো নেই, ভাল্লাগেনা কিছু;
পাংশু উদাস গোমড়া মুখে মেঘ নিয়েছে পিছু।


কানের কাছে সারাটা  দিন
যুক্তি-তর্ক বিরামবিহীন।
বলছে সবাই  - "কি হয়েছে? ঝাপসা কেন চোখ?
মুখের হাসি মিইয়ে কেন? হাস্যবদন হোক"।
কেউ বলছে "রাজার অসুখ মনোরোগের ফাঁসে";
কেউ বা তখন আড়াল ক’রে মুখটি টিপে হাসে।
কেউ বলছে - "নেয়নি বুঝি জীবনবোধের পাঠ,
সব বেদনা তুচ্ছ ক’রে শক্ত থাকার ঠাট"।
কেউ বা দেখায় গীতা, কোরআন ; কেউ বা পাশে ব’সে -
মন খারাপের কুফল গুলো বোঝায় ভীষণ জোশে।
সবার যেন একই কথা - "হাসিয়ে তোমায় যাব,
নিজের কথা ভুলে গিয়ে, সবার কথা ভাবো"।  


তত্ত্ব কথায়, চড়তে দেখে মেজাজটা সপ্তমে
সুজনবৃন্দ হকচকিয়ে পিঠটান দেয় ক্রমে ।


সূর্য তখন ডুবু ডুবু ; ফিরল চড়ুই ঘরে ;
হালকা হাওয়ার আলতো ছোঁয়ায় গাছের পাতা নড়ে।
অল্প আলোয় চোখ পড়ল ঘাসের নিরালায় -
ছোট্ট ফড়িং ডাকছে যেন বেবুঝ ইশারায়।
মনখারাপের কণাগুলি
আর সুজনের বিজ্ঞ বুলি,
হঠাৎ তখন ভীষণ বিষম খেল।
ফড়িং দেখে মুখের উপর হাস্য ফিরে এল।
গাইল যত সাঁঝের পুষ্প পাখী -
“এই দেখ এই বেঁধে দিলাম হাসিখুশির রাখি।
মন ভালো সে কী দিয়ে হয়!
উত্তরটা নীরবই রয়।
পারলে তবে বেশ থাকা যায় মনের জানলা খুলে,
একটু খানি নিজের সাথে ; এদিক সেদিক ভুলে।
থাকুক প’ড়ে মনকে নিয়ে যুক্তি সে হাজারো;
এই তো তুমি বেশ হাসতে পারো”।