শব্দের মূর্ছনায় কাব্য বর্ষণে ঝড় তুলেছিলে ;
এযেন মেঘের গায়ে বর্জ্রাঘাতে ঝরে পড়া বৃষ্টি।


কি উম্মত্ততাই না দেখালে শব্দচাষে।
শব্দের কারুকার্যের সৌন্দর্য্যে গড়েছিলে কবিতার প্রাসাদ।
শব্দের গাঁথুনিতে রচেছিলে সত্য-সুন্দরের পৃথিবী,
মানুষের পৃথিবী। শব্দের তুফানে ধ্বংসস্তুপে
জেগে উঠেছিল শব্দচাষীরা ।


আজ মানুষের মাঝে, মানুষের পৃথিবীতে
সদর্পে ঘুরে বেড়ায় নষ্টরা।
মগজের মেঝে নষ্টের পায়াচারি।
নীলাভ আকাশ,শান্ত সমুদ্রের জল,
বৃক্ষের সারি সর্বত্রই নষ্টের কালো থাবা।


যদি সত্যি পৃথিবীটা চলে যায় নষ্টের দখলে
তাহলে কি জবাব দেবে অনাগতদের?
অথচ এখনো প্রতিদিনের ভোরের সূর্যোদয় দেখে
অসংখ্য শব্দচাষী। তবুও শব্দের যথেচ্ছা
অপব্যবহারে ,মূর্মুষু বর্ণমালা।
কবিতার জমিনে নষ্টের আনাগোনা।


ফিরে এসো
আবার তুলো ঝড়, ঝরুক কাব্যবৃষ্টি।
ভেসে যাক নষ্টরা; হারিয়ে যাক নষ্টকীর্তি কালের গহবরে।
মুক্ত হোক সত্য-সুন্দরের পৃথিবী অনাগতদের জন্যে।