এই মৃত্তিকা জানে তার বক্ষে কত লাশ পুড়ানো হয়েছে,
কত সম্ভ্রমহারা নারী আঁচড়ে পড়েছে ,
বুট জুতোয় পিষ্ট হয়েছে কত শিশু তার বক্ষে ,
দাবানল প্রবাহিত হয়েছে শহর বন্দর গ্রাম।
এই মৃত্তিকা জানে কত শত লক্ষ নরমণ্ডু
তার বক্ষ ধারন করে অগ্নিগর্ভ হয়েছে,
সিক্ত হয়েছে প্রবাহিত রক্তধারায়।


আমাদের স্মৃতি বিস্মৃতি ঘটে খুব সহজেই।
আমাদের প্রয়োজনে ইতিহাস গড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলেও
আমরা সফল নিজেদের স্বার্থে ইতিহাস বিকৃতি করতে।
সত্য প্রকাশে আমাদের বড় ভয় ।
সত্য-ন্যায়ের বদলে অসত্য-অন্যায় প্রচারে সদর্পে
নিজেদের কৃতিত্ব প্রদর্শন করি।


চেয়ে দেখো লজ্জা হারানোর পর বিবেক কতটা
নিলর্জ্জ হলে মৃত্তিকা অবাধ্য হয়।
চারিদিকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। পুরোটা মৃত্তিকাজুড়ে আগ্নেয়গিরি;
যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটবে প্রবাহিত হবে লাভা
মৃত্তিকার ঘাড় বহন করে আসা জনপদে।
হারিয়ে যাবো আমরা; আমাদের পুরোকীর্তি ।


মৃত্তিকার কাছে প্রশ্ন করে জেনে নাও
কতশত বধ্যভুমি তার গর্ভে ধারন করেছে ,
কত রক্ত সমুদ্রে সিক্ত হয়েছে।
ইতিহাস নয় , মৃত্তিকার কাছ থেকে জেনে নাও
এই হন্তারক কারা ?
তারপর তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করে
আমাদের অনাগত প্রজন্মের জন্য মৃত্তিকাকে
ভারমুক্ত করা এখন বড়ই প্রয়োজন।
০১.০১.২০১৫