একটি সভ্যতার জন্ম মানে একটি দীর্ঘ ইতিহাস রচনা
দর্শন প্রসূত সভ্যতা আশ্রিত মানুষের বিবেক বোধ
সৃষ্টির জন্য, ধ্বংসের জন্য নয়।
পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাস বহন করে সাক্ষি হয়ে
আজো দাঁড়িয়ে আছে অনেক জনপদ।


ধর্মের দোহাই দিয়ে একপেশে যুদ্ধে পৃথিবীর
সভ্যতার নিদর্শন গুলো ধ্বংসপ্রায়,
ধর্ম তো শান্তির জন্য, হত্যা সন্ত্রাস কিংবা ধ্বংসযজ্ঞ
কোন ধর্মের কাজ নয়।


পাশবিকতা হিংস্রতা হত্যাযজ্ঞের দীর্ঘ ইতিহাস মাড়িয়ে
পৃথিবী যখন সভ্যতার শিখরে তখন ধর্মের নামে
পাশবতন্ত্র বহন করে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে ধর্মেরমুখোশধারীরা।
নদীতে সমুদ্রে পানার ভাসছে লাশ, নিঃশ্বাসে এখন লাশের গন্ধ,
মানুষ মানুষের লাশ ভক্ষনের নেশার ঘোরে আচ্ছন্ন।


অত্যাধুনিক অস্ত্রের আঘাতে বারটি মানুষ মুর্হুতেই হয়ে গেল
বারটি লাশ। স্তব্ধ করে দিল ভলতিয়ারের দেশ
শিল্পেরলীলা ভূমি প্যারিসনগরী।
প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে মানুষ হয়ে গেল নির্বাক।
তবুও দেখেছি মানুষের প্রতিবাদের ভাষা , চোখে মুখে ঘৃনা
হত্যা সন্ত্রাসের প্রতি।


হে পৃথিবীর ধর্মের অনুসারীরা জেগে উঠো
স্বগৌরবে ঘোষণা করো- হত্যা সন্ত্রাস কোন ধর্মের কাজ নয়,
যারা খুনি সন্ত্রাসী তারা কোন ধর্মের নয়।
তাহলে সন্ত্রাস নামে আরেকটি ধর্মের আর্বিভাব হল
সভ্যতার এই পৃথিবীতে?
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে সকল ধর্ম 'সন্ত্রাসধর্মে'র বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়াবার এখনই তো উপযুক্ত সময়।
সভ্যতার এ যুগে 'সন্ত্রাসধর্ম' নির্মুলে সকল ধর্মের
প্রাণপণ চেষ্টায় রচিত হউক সন্ত্রাস নির্মুলের আরেকটি ইতিহাস।