রক্ত এখন তনুর লজ্জা ঢাকে।
পোশাকের আবরণে শোভিত তনুর লাজুক ছবি নয়,
রক্ত ঢাকা তনুকে দেখছে পুরো দুনিয়া ।
দেখুক , তনুর এখন আর কোন বাঁধা নেই,
যুদ্ধ নেই সভ্যতার সাথে।
তনুর দিকে আর কখনও কোনদিন হায়েনারা
লালসার ফনা উঁচিয়ে ধেয়ে আসবেনা,
তনুও লজ্জায় ঘৃনায় আর মাথা লুকাবে না
বেঁচে থাকার নির্মোহ আশায় ।
তনু হত্যার মাঝে বেঁচে গেছে অথচ
কেউ দেখেনি তার দেহে হায়েনাদের বিভৎষ উৎসব ।
‘
এখন প্রাগৈতিহাসিক কিংবা মধ্যযুগের কীর্তি শুনে শিউরে উঠিনা।
মধ্যযুগীয় বর্বরতাই এখন সভ্যতা ।
মানুষ জনপদ ছেড়ে পালিয়ে গেছে জঙ্গলে সেই কবে
আর জঙ্গলের হিংস্ররা শাসন করে জনপদ সদর্পে ।
হিংস্র শাসিত জনপদে তনুরা জন্মায় হায়েনাদের লালসার আহার্য হয়ে ।
হায়েনারা যখন তনুদের দেহ ছিড়ে খুঁড়ে খায়
মানুষ আর হায়েনাদের একাকার করে
ঈশ্বর হারিয়ে যায় হায়েনাদের মাঝে,
তা না হলে ঈশ্বরের শক্তি কিংবা অস্তিত্ব তখন কোথায় থাকে ?