সর্বগ্রাসী আঁধার চতুর্দিকে । আসমানের সফেদ মেঘরাশি
যে বাসর সাজিয়েছিল তার সঙ্গমবীর্য এখন সমুদ্রের
তৃষ্ঞা নিবারণে মত্ত। তৃষ্ঞার্ত সবুজ দিগন্তে হাহাকার।
মনে হয়, গহীন অরণ্য ভেদ করে ধেয়ে আসছে পাথুরে বজ্র ,
বিবর্ণ বিমর্ষ নীল আসমানে পাথুরে কান্না।
পৃথিবীর এত আতঙ্কিত অবয়ব হয়তো কেউ দেখেনি কোনদিন।
মুহুমুহ বজ্র কম্পনে আঁচড়ে পড়ছে বৃক্ষ, ঘাস, অরণ্য
মৃত্তিকার অবশ দেহে । হিংস্রের আধিপত্য লোকালয়ে ক্রমশ
বাড়ছে। তাহলে কি সর্বগ্রাসী আঁধার ভেদ করে রাত্রির
আসমানে জ্বলবে না  জ্যোৎস্না প্রদীপ? কিংবা আঁধার
চিরে উদিত হবে না ভোরের আভা?

গভীর ধ্যানী ঈশ্বরের শেষ ইচ্ছাতেই প্রকৃতির হস্ত
সজ্জিত বাসর পৃথিবী।  আমরা এসেছি দীর্ঘ আঁধার মাড়িয়ে
মানুষ পরিচয়ে  শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে।  আমরা কখনো ঈশ্বর হয়েছি
আবার কখনো ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়েছি আলোর মশাল হাতে ।  
এখন সর্বগ্রাসী আঁধার চতুর্দিকে , মদ্যপ উম্মত্ততা সর্বত্র।
সর্বস্ব হারানো ঈশ্বরের প্রতিনিধিরা এখন ভয়ঙ্কর হিংস্র ।
কেউ জানে না কিংবা কারো জানা নেই বেরিয়ে আসার পথ।

সময় কিংবা কালের কাছে আকুতি আমার ।  
এবার তবে তুমিই বলো-  হে বহমান বন্ধ্যা সময়,  
আর কত আঁধার সঙ্গমে তুমি গর্ভবতী হবে?  
গর্ভপাত যন্ত্রণায় ঝটপট করে গর্ভপাত ঘটাবে
ভোরের সূর্যদোয়ের ? নাকি তোমারও অন্তিম যাত্রা
মহাপ্রলয়ের দিকে আর তাই সর্বগ্রাসী আঁধার চতুর্দিকে?  ? ?  
১৮.০৫.২০১৬