(সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক কে )


পরমাত্মার সাথে আত্মার মিলনের চিরসত্য রীতি
ধারণ করে সৃষ্টিকূল । যেমন করেছ তুমিও দেহ বিসর্জনে,
রেখে অমর কীর্তি । আজ তুমি চোখের সীমানার ওপারে।
অথচ প্রাণান্ত বঙ্গবাঁশি বাজায়ে রচিত কাব্যগাঁথা গ্রথিত প্রাণে
তোমার উম্মাদনা দেখেছি আমি সীমানার এপারে।
পরমাত্মার কি অপরূপ প্রণয়লীলা ।
.
অহর্নিশ জমাট রক্তের নিদ্রা ভেঙ্গে দেয় সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির
বিরুদ্ধে তোমার প্রতীকী ডাক-‘‘জাগো বাহে কোনঠে সবার’’।
সবুজের গহীনে রক্ত ফানুস উড়িয়ে তৃপ্ত হয় অসুর আত্মা ।
‘‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’’ শব্দগুচ্ছ শিহরণ জাগায়
অসুর বিনাশী যুদ্ধের। অসুর বিনাশ মানে পরমাত্মার তুষ্টিতে তুষ্ট আত্মা ।
.
আমৃত্যু দ্রোহ ধারণ করেছিল তোমার শিল্পধারা , দেশিয় দোসরদের
দম্ভোক্তি রুখতে । নির্মোহ মানুষের সারিতে দাঁড়ায়ে ঈশ্বরের  
মোহাগ্নি জ্বেলেছিলে কাব্যগাঁথায় । রক্তের উদগ্রীবনী ফানুস,
লোকালয়ে হিংস্ররা পদচুম্বনে সভ্যতা শিখে আজ । রোদেলা বিকেলের
আরতিতে সাঁঝের মায়া ভুলে সন্ধ্যা তারা জ্বলে সূর্য হয়ে।
.
আত্মার বিলাপ কীর্তন বয়ে অশ্বথের ন্যায় দাঁড়ায়ে পরম কামনা
পরমাত্মার সাথে তোমার মিলন শুভ হোক । আর প্রজন্ম সন্ধিক্ষণে দাঁড়ায়ে বলি
শোন হে- অনাগতরা দেহের প্রস্থান মানে আত্মা থেকে আত্মার বিচ্ছেদ নয়।