একটি ছেলে
বখতিয়ার উদ্দিন।


এই ওই বিল শূন্যতাই বাজে খাঁ খাঁ করি উড়ে রোদ,
একটি ছেলেই বকরী চরাই নাহি কোন তার বোধ।
কাজেই নীরব লিপ্ত থেকেই কোন খানে হেলা নাই।
বকরীর পাছে লেগে থেকে তার জনম জনম যায়।
দুই চোখে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ঝলসেই উঠে রোদ,
এই রোদে সেই পুড়ে পুড়ে সারা দিচ্ছে কিসের সৌধ?


আকাশ পানেই দৃষ্টি তাহার গায়ে পড়া এক জামা,
এই জামাতেই ঘুমায় ছাবর - ঔ জামাতে রমরমা।
চরণে তাহার কোন জুতা নাহি তাই খালি পায়ে হাঁটে,
কত যে জনম দেখা যায় তারে বকরীর সনে মাঠে।
হাঁটাহাঁটি তার সুর রুপে হাই হাতে থাকে এক বাঁশি,
মাঝে মাঝে তারে বকরীর সনে দেখি মুখ ফাঁটা হাসি।
চুল গুলো তার এলোমেলো উড়ে আরো মায়া ভরা মুখ,
বুকের পানেই তাকাই যখন তার শত দেখি দুখ।
এই নিয়ে তার ছোট্ট জীবন এমনেই চলে যায়
জীবন হাঁটেই হেঁটে হেঁটে তার আর কোন কিছু নাই।