সারা সন্ধ্যা
   বখতিয়ার উদ্দিন।


সারা সন্ধ্যা ঘিরে ধরেছে ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা ছায়া
মানুষ কত ফিরছে সবে বাড়াই ঘরের মায়া।
রবি ডুবার আগেই আজ সব কিছু ডুবে আসে
ছেলে-মেয়েরা খেলা ছাড়িই আলয় পড়তে বসে।
বউ-ঝিয়েরা ব্যস্ত হয়ে রান্না করছে ঘরে।
পাখি গুলোই বাসায় ফিরে আঁধার নামছে চরে।
বন-নদীতে সব খানেতে নীরবতার কি সাড়া।
গরুর পাল ঘরে ফিরছে মাতিয়ে সারাটি পাড়া।
শহর দেশে কত মানুষ হারিয়ে কাজের গতি
উদাস মনে ব্যস্ত হয়ে ভাবছে কিসের প্রীতি?
কুয়াশা নেই বৃষ্টি নেই এতেই দিনের শেষ
মন ভিতরে রইয়ে গেছে সারাটি দিনের রেশ।
দরজা মুখে বসে বৃদ্ধ হিসাব করছে দিন
জীবন খানি কোথায় গেল বাড়াই হাজার ঋণ।
ভাবনা হীনা ছেলেরা সবে কত শত পড়ে যায়
মাঝে মধ্যেই অমনোযোগী ভাবনাতে ডুবে হাই।
দিন খানির অর্ধক মাঝে ঘন কালো নেমে আসে
তারই মাঝে ধোঁয়াশা মনে হাজার বিরহ ভাসে।
বয়স শেষে ভাব করি যে শৈশবতে যায় ফিরে।
মধ্য দিনের হাত-পা হেরে সবে আছি আজ ঘরে।
সারা দিনটা এমন কেন ভু-ভু রব কানে বাজে
ধোঁয়াশা দিনে এলো মেলোতে তা মধুর করে সাজে।
ভোর থেকেই আজিকে হলো গভীর সন্ধ্যা যেন
শিমুল তলে লাল ফুলের জীবন সাজিয়ে হেন।
ভাবছি বসে জীবন শেষে ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা সুখ
ভাবনা মনে জগৎ খানি দেখছে মনের চোখ।