এক থাপ্পরে ফাটিয়ে দিলাম
নেতার কানের তালা ,
কলার ধরে ,ঝটকা টানে
করলাম চ্যাং দোলা।


হুংকার দিয়ে  বললাম তারে ,
এখন কই যাবি ?
অনেক করেছিস চাপাবাজি,
এবার মার খাবি।


জনতার সাথে , ছলনা করে
পেয়েছিস তোর গদি ,
আজ আর তোর রক্ষে নেই ,
ভাসাবো তোকে নদী।


খবর শুনিয়া ছুটিয়া আসিল ,
থানার বড় সাব ,
এমন পিটুনী দিলাম তারে ,
ভুলিল কে তার বাপ।


চেলা,চামচারা জনতার হাতে ,
আগেই অচেতন ,
জজ সাহেবরে ধরলাম কষে ,
কই যাও বাছা ধন।


খুনিরে তুমি খালাস দিছো ,
নির্দোষকে দিছো সাজা ,
এখন তোমার বিচার হবে ,
বুঝবা কেমন মজা।


রেগেমেগে দেখি আগুন হওয়া
ব্যবসায়ী মহাজন ,
কৃষক দলের কাছে তারে
করিলাম সমর্পন।


অকারণে তুমি বাড়িয়েছ দাম ,
আমরা পায় নাই কিছু ,
এমন কাটা , কাটবো এখন,
যেমনি কাটে কচু।



তারপর ধরলাম, ভদ্র চেহারার
বদমাশ ডাক্তার বাবু ,
কত রোগীর তুই রক্ত খাইছিস ,
এখন কেন কাবু।


শুয়ায়ে তারে চালান করলাম
আস্ত একটা বাঁশ ,
কত মানুষের জীবন খায়ছিস,
বানিয়ে দিছিস লাশ।


ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখি ,
আসছে দালালের পাল ,
সব বেটাদের তুইলা নিলাম ,
গায়ের যত ছাল।


অবশেষে ক্লান্ত আমি
নিজের দিকে চায় ,
সবকিছু একদম নীরব হইলো ,
আমি ছিলাম খালি গায়।



বিকট শব্দে চমকে ওঠি ,
বলি , আবার কে রে ,
তাকিয়ে দেখি শুয়ে আছি ,
আমার ছোট্ট ঘরে।


চারিদিকে সব ছড়ানো ছিটানো
কিছুই আস্ত নাই ,
তুলার ঝড় বয়ে গেছে বুঝি ,
আমার ঘর খানায়।


ঘুম,ঘুম চোখে ভাবলাম আমি ,
কেমনে হলো এটা ?
মনে পড়তেই , মুচকি হাসলাম ,
এতো , আমার বুকের পাটা।



বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কবিতাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক , কোন ব্যক্তি , গোষ্ঠী বা কোন প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে রচিত নয়।  বাস্তবের সাথে কবিতাটির কোন মিল নেই।