ডিয়ার লর্ড, আপনাকে জানাই
হাজারটি লাল গোলাপের শুভেচ্ছা,
অনেক বছর পর লিখতে বসেছি,
শোনাতে, নির্বোধ বাঙ্গালীদের কিচ্ছা।


শুনে আপনি, খুশিতে উতলিয়া উঠিবেন,
এতে কোন সন্দেহ নাই,
মাথামোটা বাঙালিরা তেমনই আছে,
এতোটুকুও তারা বদলায় নাই।


বাঙালিরা এখন, পুরোপুরি
ইংরেজদের অন্ধ ভক্ত,
আদা-জল খেয়ে তাই করিতেছে চেষ্টা,
ইংরেজি ভাষাটা রপ্ত।


ছেলে –পুলেদের জন্য, তারা এখন,
গড়িয়াছে  ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যম,
চাষা-ভূষা বলিলে ক্ষেপে যায় তারা,
খুশি হয় বেজায়, শুনিলে স্যার, ম্যাডাম।


চাকুরী কোন হয় নাই এখন,
ইংরেজি যদি, জানা থাকে কম,
মা ডাকিতে বারণ করে দেয়,
ডাকিতে বলে এখন মম।


স্যুট, প্যান্ট ছাড়া, তাদের এখন আর চলে না,
মেয়েরাও শাড়ি -কামিজ দিয়েছে ছেড়ে,
নারী পুরুষের এখন সমতায় চলে,
স্বাধীনতা তারা আনিয়াছে কেড়ে।


আপনাদের বিলানো পানীয়, চা,
এদের এখন জীবন প্রায়,
এক বেলা খেতে না পারিলে,
প্রাণটা তাদের যায়, যায়।


টেবিলে তাদের খাবার না দিলে,
পেট নাহি আজ ভরে,
ডাল -ভাত আর খায় না কেউ,
অখাদ্য মনে করে।


সকালে তাদের ব্রেকফাস্ট লাগে,
দুপুরে বাহারি লাঞ্চ,
বিকেলের রাস্তায়, ফাস্টফুড থাকে,
ডিনারের আগে ডান্স।


বাংলা গান, শুনে না তারা,
ইংলিশ সং নাকি হিট,
কত রকম যে, পার্টি করে,
তার নেই কোন ঠিক।


বাংলা -ইংলিশ মিশিয়ে এখন,
কথা কয় ফটাফট,
একটু থেমে বলছি, শুনুন,
আমার প্রিয় লর্ড।


অনুকরণ আর অনুসরণে,
বাঙালিরা আজ সেরা,
নিজেদের আর কিছুই নেই,
সবকিছু ধার করা।


মাঝে, মাঝে আমিও অবাক হই,
মিট মিটিয়ে হাসি,
দুইশত বছর গোলামির পরেও,
এখনো ওরা দাসী।


ফেব্রুয়ারি মাস এলেই শুধু,
ভাষার  দরদ বাড়ে,
সবার হাতে পতাকা দেখি,
ডিসেম্বরেই উড়ে।


আমার চেয়েও বেঈমান ওরা,
জানিয়ে রাখি খবর,
আজ তাহলে এখানেই বিদায়,
ইতি- আপনার আস্থাভাজন- মীরজাফর।