মুঠো ভর্তি নীল ছোবল নিয়ে প্রান্তরের হাঁ করা মুখে
ওই কারা ঢুকছে !
বিষাক্ত দিনরাত্রি নিয়ে তুমিও যাও ওদের সাথে,
খোশ গল্পে মেতে ওঠ,
ইয়ার্কি মারো, ঘুরপাক খাও, জল ঘোলা কর
আনন্দ—আনন্দ চরমে উঠুক!


সুযোগ পেলেই পাতালে নামো তুলে আনো কালো অন্ধকার,
রক্তবমি করো লোহা কাষ্ঠের শরীরে; অসুখ,গন্ধ ছড়াও-দুর্গন্ধ!
নাকে সুগন্ধি রুমাল চেপে পাশ কাটিয়ে যাবে সবাই,
কেউ রা—শব্দটি করবে না,
খিড়কি দরজা বন্ধ করে ঘুম দিবে চরম, শেষ রাতে জবরদস্ত সঙ্গম;
সার্থক জনম—এই ভেবেই দিব্যি কাটিয়ে দিবে দিন !!


আহত চন্দ্র, শোকাচ্ছন্ন বৃক্ষ, জননীর মলিন মুখ—এসব নিয়ে ভেবো না
বরং ধুলোকালি মেখে দিনকানা রাতকানা হও!
সজ্জিত দর্পনে দেখ আত্মবিকৃত প্রতিবিম্ব, উল্লাস করো, লাফিয়ে উঠো
মজ্জায় আজন্ম লালন কর রিরংসার বীজ,
যত্নআত্তি করো, ডালপালা ছড়াক শ্বাপদ—
ছায়ায় নিশ্চিন্তে বসে থাক, খেলা দেখ— খেলা—হাততালি দাও খুব !


হাত থেকে হাত খুলে নাও, সরিয়ে নাও চোখ থেকে চোখ,ঘুরিয়ে নাও মুখ
রেখো না স্পর্শ সুযোগ—সরে যাও যতোদূর পার—আলো থেকে, ভালো থেকে,
সুন্দরের মোহ মায়া থেকে দূরে আরো দূরে....
ভালোবাসার বাগানে লালসার আগুন ঠিকরে পড়ুক
ভুলে যাও— জীবনে জীবন যোগ— মেঘের জলসায় ময়ূরীর নাচ—
মুদ্রার ঝংকারে নদীর ভাঙন, আহা! তুমুল ভাঙন –উপভোগ করো !!


ঘরে বাইরে কাকের কর্কশ, হুরমুর জল ঢুকে পড়ুক
সর্বনাশ হোক দেশ ও দশের, নিষিদ্ধ হোক মানুষ ও মনুষ্যত্ব
তুমি খোশ গল্পে মেতে ওঠ, ইয়ার্কি মারো, ঘুরপাক খাও
জল ঘোলা কর , আনন্দ—আনন্দ চরমে উঠুক!