ব্যর্থ হবার দিন গভীর থেকে উঠে আসে তোমার গান—
ভিতরে প্রবেশ মাত্রই ভেঙে যায় নিঃশব্দে, যেমন করে  
জন্মের ভিতর মৃত্যু ঢুকে পড়ে সহসায়—  
মাথার ভিতর যে পাখিটা ওড়ে তার মাংস খাওয়ার লোভ হয়
জৈবদেহ পোড়ে রুপালি জ্যোৎস্নায় আর কলঙ্ক ধরে চাঁদ
ছায়ার অন্ধকারে লুকিয়ে আছে এক মৌলিক অসুখ—
তার নাম কখনো মুখে আনব না, দাঁড়িয়ে থাকবো নিশ্চুপ!
দরজায় আঁচর কাটুক বিহ্বল জল, নিশ্চিত জেনে যাবো একদিন—
যা কিছু আছে কাঙ্ক্ষিত জ্বালাবার পোড়াবার আক্রোশ ঘৃণা ও ক্রোধ  
সন্ধ্যার আরক্তিম সজ্জা সাজ, রাত্রির গন্ধমুকুট—
আক্রমণ প্রতি আক্রমণ—শুধু পেইন কিলারে হবে না
এই ব্যথা উপশম।  
আমার ব্যর্থ হবার দিন চোখ থেকে উঠে আসে চোখ, ভিন্ন আলোক—
কন্ঠ থেকে ছিঁড়ে যায় ব্যাঘ্র গর্জন; স্বপ্নের ভিতর ঢুকে পড়ে মৌমাছি—  
গুনগুন গুনগুন! আস্তাবল ঘিরে অলৌকিক ঘুম;
হৃদপিণ্ড খামচে ধরে টিরানোসরাসের হিংস্র নখ !
কোথায় যেন ফোটে এক রক্তমুখী ফুল—তার দিকে চেয়ে
আমি কি বেঁচে উঠি ?