গায়ে গতরে টায়ার পোড়া গন্ধ ছুটছে গতিময় চাকা গন্তব্যহীন
পথের পেটের ভিতর পথ—আলো নয়, জ্বলছে শেয়ালের ধূর্ত চোখ
এই উন্মাদ শহরে কোথা থেকে এলো রহস্যমাখা এতো হলুদ শরীর
ছুঁয়ে দেখি ঠাণ্ডা নরম—কোন উদ্বিগ্নতা নেই, সব কিছুই স্বাভাবিক
তবু কোথাও থেকে যাচ্ছে কিছু একটা—কারও গভীর গোপন নির্জনতা  
তীব্র ক্ষত পুড়িয়ে কেউ কেউ জ্বালিয়ে রাখছে উনুন— ক্ষুধা— অণ্বেষণ  
পায়ের তলায় মাটি নেই জেনেও কেউ কেউ ঠাই দাঁড়িয়ে আছে
আশ্চর্য গোলাপ হাতে যুবকটি এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েটির দিকে –জিরাফের তৃষ্ণা—
শুকিয়ে যাচ্ছে গলা ; তবু তোমাকে চাই, প্রেম—
মর্মে মর্মে—রক্তমাংস অস্থিমজ্জায়— শিরা উপশিরায় নিবিড় সুখ আত্মঘাতী!
বৃষ্টিতে মুছে যাচ্ছে চুম্বন চিহ্ন, পায়ের রেখা–অতঃপর গাঢ় ঘুম
ঢলে পড়ছে শুন্য ফুটপাত—
উদগ্রীব বাসনা নিয়ে কেউ কি জেগে আছে এখনো
অসম্ভবের স্তম্ভ ছুঁয়ে—
স্তব্ধ আকাশে ঝুলে আছে বিলবোর্ড—হাওয়ায় দুলছে নামগোত্রহীন বিজ্ঞাপন!!
মানুষের বুকে হাত রাখতেই কেন ধ্বসে পড়ি আপাদমস্তক??