তোমার পাঠোদ্ধার এতো সহজ নয়—এতোটাই দুর্বোধ্য
এতোটাই রহস্যময় তুমি, অন্তঃকরণে কোন অর্থ নয়,
শুধু সংকেত—আর রক্তমাংস ফুলের ঘ্রাণ পাই
তোমার আদ্যপান্ত পাঠ করতে করতে
চোখে নেমে আসে ক্লান্ত দিগন্ত,আকাশ,পাথর জল—ভেসে যাই,
খেই হারিয়ে ফেলি— আদিতে ফিরে যাই পুনর্বার
এইভাবে আর কতো?  
অথচ এমন নিবিষ্ট, দৃঢ়চিত্ত পাঠক হতে হয়,    
চাঁদ যেমন নেমে আসে জলের আয়নায়,মুখ দেখে—
জোছনা ছড়ায় নিসর্গের ভাঁজে ভাঁজে!  
তেমনি বুক পাঁজর খুলে প্রতিটি অক্ষর ধরে ধরে
শব্দ, শব্দ ধরে ধরে ছন্দ সুষমায় জ্বলে ওঠা—তীব্রভাবে জ্বলে ওঠা  
অতঃপর, চেপে ধরতে হয় দৃঢ়ভাবে
তোমার প্রতিটি আলোকচ্ছটা, অমিত উল্লাস!
দমকা হাওয়ায় ফোয়ারার মতো উড়ে উড়ে যায়
তোমার বিস্রস্ত ছায়া—আর কী ভীষণ ব্যার্থ আমার দুটি হাত
দেখো, ছুঁতে গেলেই নিভে যায় চোখের বিদ্যুৎ!
অথচ অস্তিত্বের টুঁটি চেপে মর্মমূলে বসে আছো স্বয়ং
এতোটাই দুর্বোধ্য, রহস্যময় তুমি—
তোমারই গর্ভজলে ভেসে আছি উন্মুখ অন্ধকার—
আলো কোথায়—আলো ?