একটা বেপর্দা মাছি আমার স্বস্তির নিঃশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায়
সারাক্ষণ ভোঁ ভোঁ করে কর্ণকুহরে, কখনো কখনো
নাসারন্ধ্র দিয়ে মস্তিষ্কের ভিতরে চলে যায়
             চেতনায় খোঁড়ে কবর!


তবে কি সে জেনে গেছে অনাগত মৃত্যুর কোন খবর?
নাকি সে দেখেছে সংসারের জীবনগ্রাসী সুখ
কেমন করে নেমে যায় মানুষ আগুনের ফাটলে
                   উর্ধ্বে তুলে বুক
ব্যাপক উল্লাসে কেমন করে খোলে চাঁদের ভাঁজ
                কোন কলঙ্ক ছাড়াই
কি অভিলাষে ঈশ্বরের সাজানো আরশ কাঁপায়
একটা বেপর্দা মাছি আমার স্বস্তির নিঃশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায়।


কোন গোলাপের বুকে পৃথিবীর প্রথম পাথর উঠেছিল ফুটে
কোন ভ্রমর পান করেছিল আদিমধু ঈশ্বরীর বুকে
ষষ্ঠপদে তার চিহ্ন ধরে ভ্রমণ করে
আমার মানস সরোবরে।

একটা বেপর্দা মাছি সারাক্ষণ আমাকে জ্বালাতন করে
চোখের কোটরে বসে পর্যবেক্ষন করে নিসর্গের গতিবিধি
কোন মোহনায় মিলে দুঃখ নদী
কোন ঝর্ণার জলে পিপাসা মিটায় রাত্রি
অন্ধ সময়ের বুকে কিভাবে জেগে ওঠে রক্তাক্ত ব-দ্বীপ;
যখন অরণ্যের চিৎকারে আকাশ কাঁদে
নীড় হারায় পাখি, তখন সেই বেপর্দা মাছি
বোধিদ্রুমে নক্ষত্র ফোটায় দেখায় মানুষের ক্ষতি ।।