যেদিন আমার ধড় থেকে মাথা
সাঁই সাঁই করে উড়ে যাবে বাতাসের স্রোতে
সেদিন তোমরা বালিহাঁস- পালকে রক্তইতিহাস লিখে
দলবদ্ধ হয়ে সাঁতার কাটবে শান্ত সরোবরে
তখন নানা উপসর্গে ঝিমাবে দুপুর,
বকুলগন্ধ বিকেল শুষে নিবে উষ্ণ চায়ের কাপ
গোধূলির আগুনে পুড়বে ব্যস্ত ফুটপাথ আর কিছু মানুষ
গোপনে সন্ধি করবে হলুদ ফড়িঙের সাথে  
মেদবহুল হরিণের বর্ণিল বিজ্ঞাপনে ছেয়ে যাবে সন্ধ্যার আকাশ
যদিও রবীন্দ্রনাথ রাতের শরীর ভরে তুলবেন গানে গানে
শোবার আগে রমণীরা যেমন করে গতর থেকে গয়না খোলে
ঠিক তেমন করে করোটির অন্ধকার খুলে খুলে
রেখে দেবেন নক্সাকরা বাক্সে
আর শীঘ্রই তোমরা ভুলে যাবে সেই সব ছায়াশরীর
মুখর প্রান্তর, উল্লাস ধ্বনি, মেঘ বৃষ্টির কড়চায়
পেখমতোলা ময়ূরের নাচের দৃশ্য !
তারপর খুব চেনা এক সকালে হঠাৎ ড্রাগনের তাড়া খেয়ে
মুখে আগুন নিয়ে তোমারা সেই যে রুদ্ধশ্বাসে
দৌড়াতে শুরু করবে
                         পাতালে... পাতালে...