চারপাশে জীবন্ত কবরের হাঁ করা মুখ, কিংবা
জ্যোৎস্নার ধবল স্রোতে রক্ত দেখে আমি আর আঁতকে উঠি না—
জানি, নিজের গোপন পাপে নিসর্গের নুন চাটতে চাটতে
অজান্তেই মানচিত্র থেকে ক্ষয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে মানুষ      
আর তুমি ভাঙা স্বপ্নের আঙুল ধরে হাঁটতে হাঁটতে
পরিত্যক্ত আকাশের খুব কাছাকাছি গিয়ে দেখছ—
পৃথিবীর নীল নকশা  
এক পরাজিত বোবা সভ্যতার বিকৃত চেতনার ফোয়ারায়
ভিজে যাওয়া দেশ জনপদ,সংঘ শান্তি নিয়ে
কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠছে—এই গ্রাম নগর শস্য মাঠ
দানবাকৃতি মাছেরা ঘাই মেরে কীভাবে ফেটে ফেলছে
ঋতুমতী নদীর তলপেট  
ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তেই—মাতৃগর্ভে আক্রান্ত শিশুর শিরা উপশিরায়
ঢুকে পড়ে ভূমিষ্ঠ হই বজ্রমুষ্ঠি প্রতিবাদ
কিংবা গাভীর স্বনন থেকে ঝরে পড়ি অবিরাম গার্হস্থ্য আশীর্বাদ
ভীত সন্ত্রস্ত পায়রার মতো নয় বরং মেঘের বৃত্ত ভেঙে
তোমার রক্তে নেচে উঠি ময়ূর—মাংসের ব্যাদানে
জ্বলে উঠি অগ্নিস্ফূলিঙ্গ
এক চুমুকে পান করি ওই নিশাচর চোখের বিদ্যুৎ তারপর দেখি,
কতোটা প্রলয় সহ্য করতে পার
নিজের ছেঁড়া টুকরো নিয়ে খেলতে খেলতে তুমি কি এখনও ক্লান্ত নও?