কাফনে ঢাকা অড়হর ক্ষেত মাড়িয়ে
বুকের উপর হু হু করে নেমে আসে হিম !  
যেন বদ্ধ জলাশয়ের বিহ্বল কাছিম  
কুঁজো হয়ে উদোম পিঠে শুষে নিই
ক্ষয়িষ্ণু কালের তপ্ত রোদ !
খোলসের ভিতর থেকে উঁকি দিয়ে দেখি  
জলের আর্তনাদে কেমন ভেসে যায়  
আমার সমস্ত গান; আমার সকল নির্ভরতা!
চোখের আগে দুলে দুলে ওঠে মায়াবী পর্দা;  
তখন স্নায়ুতে ঝিমায় তন্দ্রাচ্ছন্ন খরগোশ!
বাহুর নিচে ডানা ঝাপটায় দগ্ধ দুপুর!
শান্ত বিকেলে শালিকের ডানায়
রংধনু নেচে উঠলে বিস্ময় ফুটে ওঠে
নদীর মুকুরে! জনরোলে সান্ধ্য সঙ্গীত
লীন হলে জোনাকিরা সব ধর্মঘট করে;
প্যাঁচার চিৎকার! রাতের শরীরে  
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুড়ো বটগাছ
কানে কানে অন্ধকারের জন্মকথা শোনায়।