মুছে ফেলতে চাইছি—তবু ভিতরে ভিতরে কোথাও থেকে যাচ্ছ  
শব্দের ভিতর শব্দহীন,আলোর ভিতর গুঢ় অন্ধকার, রক্তের ভিতর
— মদমোহ, ভালোবাসার তীব্র কাঁটা, দহন!  
বাহ্য দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না এমন সুক্ষ্ণ শৈল্পিক ছলাকলা!  
পোশাকের আড়ালে তুমি? তোমার ছায়ার অনুবাদ করতে করতে
গ্রাস করে ফেলেছি একটা নষ্ট আকাশ চাঁদের ছায়া!
উপরন্তু হিসেব নিকাশ করতে করতে বৃত্তের পরিধি ও জ্যা
মাপাই হলো না।
পথের চিহ্ন কুড়িয়ে কুড়িয়ে পকেটে রাখছি, যদি কাজে লাগে—
পাতার বাঁশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলছে সমতল ভূমি।
জলের ওপর স্পষ্টত তোমার ভেসে থাকা, মুছে ফেলতে চাইছি—
আবেগ থেকে অহং থেকে অগ্নি নরক পুষ্পের কীট !  
ভারি হয়ে আসছে মগজ; কোথাও থেকে যাচ্ছে সুক্ষ্ণ তরবারি—
কাটা ছেঁড়া চোখ, জিহ্বাগ্রে সমস্ত জগত নাচছে!  
পায়ের কাছ থেকে সড়ে যাচ্ছে একটা দুইটা পা, শূন্যে লাফাচ্ছে
ধর থেকে আলাদা মাথা; কাটা ঘায়ে লবণ দিয়ে হাসছে কারা!  
ফাঁদে ফেলতে জাল বুনছে; মানুষের শবদেহ ধরে মানুষ কাঁদছে!  
পাখি মুখোশ পড়ে মানুষের ঘন অরণ্যে ঘুরে ঘুরে দেখেছি
তাঁদের ভাষা বড় জটিল।