কতোটা ভাংচুর শেষে মানুষ পৌঁছে মানুষের কাছে?
প্রার্থনার সব ভাষা নিংড়ে গেলে
প্রতিটি অক্ষর শবের গন্ধ নিয়ে ফিরে আসে
শূন্য মাতৃগর্ভে!
এই শহরে
আমার চেনা সব বৃক্ষের শরীরেই কান্নার দাগ আছে;
আছে গোপন দুঃখের বিলাপ...আর পাতাদের দীর্ঘশ্বাস!
তবু আমি ঠিক বুঝে যাই, খুনি ও প্রেমিকের পার্থক্য;
কার চোখ কতোটা লাল ! কোনটা রক্ত আর কোনটা রং!
কোনটা পাথর আর কোনটা মানুষ!
কাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে কেঁপে ওঠে রাত্রির জঙ্ঘা !
দর-দালানের দেয়ালে দেয়ালে
কোন বাজিকরের ছায়া খেলে
প্রবৃদ্ধির ডামাডোলে
কোন রমণীর রক্তিম গালে টোল পড়ে
আর বিস্রস্ত পোশাকের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে গলিত সিসা!
এই নগরীর বুকে
দহনের চিহ্ন ছাড়া এখন আর কিছুই দেখিনা
যেন সমস্ত কিছুই দাহ্য- জন্ম,মৃত্যু, বেঁচে থাকা!


আর এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে
আমার তন্দ্রার ভিতর হেঁটে যায় যে
                            তাকে আজও চিনতে পারিনি !